এটা কোনো নির্বাচন হলো, এটাই কী গণতন্ত্র?

নিলোফার চৌধুরী মনি 

গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, মহেশখালীর পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ কেন্দ্র দখল নিয়ে দুই গ্র“পের সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ নিজেরাই এখন সংঘর্ষে লিপ্ত। বিএনপিকে তো মাঠেই নামতে দেওয়া হচ্ছে না। এরপরও কী বলা যায়, এটা কোনো নির্বাচন? এটাই কী গণতন্ত্র?

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গেলেই পাঁচ-সাত-দশজন প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হয়। কমিশনার প্রার্থীই থাকে আট-দশজন। ইউপি নির্বাচনে তো আরও বেশি থাকে। সেখানে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিভাবে পাস করায়?

বিএনপির প্রার্থীদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রার্থীদের মারধর করা হচ্ছে। খুন করা হচ্ছে। তাদের মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। নির্বাচনের যে আমেজ থাকে তাকি আদৌ পাওয়া যাচ্ছে? ভোট তো পরের কথা, মনোনয়নপত্রই সংগ্রহ দেওয়া হচ্ছে না। কোনোরকমে ফরম কিনলে বাড়িতে খবর পাঠানো হয়Ñ তুমি যদি বাঁচতে চাও, তোমার বাচ্চাকাচ্চাকে বাঁচাতে চাও, তুমি দ্রুত বিচার আইনে মামলা খেতে চাও, তুমি কী এলাকায় থাকতে চাও? যদি এলাকায় থাকতে চাও তাহলে মনোনয়ন জমা দিও না।

আজকে বাংলা আছে, দেশ নেই! যেখানে কোটি কোটি টাকা চুরি হচ্ছে, ডাকাতি হচ্ছে, সেখানে বসবাস করে আমাদের কী করার আছে। বিএনপি জানে, এই সরকার কী করবে, কী করবে না। বিগত দিনে বিএনপির যে চেয়ারম্যান পাস করেছে, কোনো না কোনোভাবে চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাদেরকে সরিয়ে তাদের কমিশনার দিয়ে চালানো হচ্ছে সেসব এলাকা।


শেয়ার করুন