জ্বালানি তেলের দাম কমছে, প্রজ্ঞাপন শিগগিরই

ডেস্ক নিউজঃ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের দাম কমানোর প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর সায় মিলেছে। শিগগিরই কমবে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে চলতি সপ্তাহেই জ্বালানি তেলের দাম পুনঃনির্ধারণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তেলের দাম নির্ধারণ করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে দাম সমন্বয় করতে গিয়ে বাংলাদেশে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কিছুটা কমবে। সেটা আমরা এ সপ্তাহে গেজেট আকারে প্রকাশ করব।

তিনি আরও বলেন, জ্বালানির দাম সাশ্রয়ী পর্যায়ে রাখতে ডিসিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এরইমধ্যে আমরা ডায়নামিক প্রাইসের দিকে যাচ্ছি। চলতি সপ্তাহ থেকেই জ্বালানির দাম ডায়নামিক প্রাইসের দিকে যাবে। জ্বালানির ক্ষেত্রে একটা সাশ্রয়মূল্যে আমরা সমন্বয় করতে পারব।

‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নারীর অন্তর্ভুক্তি হতে পারে ক্ষমতায়নের নতুন দিগন্ত’
দাম কতটা কমতে পারে এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাব অনুমোদন হওয়ার আগে বলতে পারছি না। আমরা অপেক্ষায় আছি যেন, মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্য তেল দিতে পারি। সমন্বয়ের ফলে সব ধরনের তেলের দামই কমবে বলে আশা করছি।

বাংলাদেশে ডিজেলের দাম এখনো ভারতের চেয়ে কম জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এতে তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ওই দেশের রুপিমূল্যকে বাংলাদেশি টাকায় পরিবর্তন করলে দেখা যায় সেখানে ডিজেলের লিটার ১৩৩ টাকা; আর বাংলাদেশে সেটা ১০৯ টাকা। বড় একটা ফারাক আছে। আমাদের এখানে আরও সাশ্রয়ী হলে পাচার হওয়ার আশঙ্কা আরও বেড়ে যাবে। কাজেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি।

২০২২ সালের ৩০ আগস্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বর্তমানে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


শেয়ার করুন