জেলা প্রশাসকের নিকট শঙ্কিত গৃহবধূ’র খোলা চিঠি!

মহোদয়,
বিনিত সালাম গ্রহণ করুন। আমি জয়নাব বেগম। এই বাংলায় হাজার বছর ধরে দুঃখের বেসীতি বয়ে চলা এক গৃহবধূ। আমার মতো অযুত-নিযুত গৃহবধূর সুখ-দুঃখের সাতকাহন কালের পর কাল আপনার জানা। তাই শত সহস্র কাজের ব্যস্ততায় আমার মতো জানা গল্পের চরিত্রের জন্য আপনার সময় নষ্ট করে মনোযোগ দিবেন কিনা জানিনা।

তবুও আশা বেঁধে রাখছি সেই হাজার বছর ধরে আশা জিইয়ে রাখা নিযুত গৃহবধূর পরম্পরায়। আশা করছি আপনি আমার দুঃখের সাতকাহনে সাহায্যের সুবাতাস বইয়ে দেবেন।

মহোদয়,
আমি জয়নব বেগম এই সমুদ্র নগরীর স্থায়ী বাসিন্দা। আমার স্বামী তরুন বয়সেই বিরল এক রোগাক্রান্ত। “মোটর নিউরিজ ডিজিজ” নমীয় এক বিরল রোগে আমার কর্মোদ্যম তরুণ স্বামীকে পরিণত করেছে কর্মহীণ বেকার! আল্লাহর আরেক উপহার হলো আমার আট বছরের কন্যা সন্তান, সেও বর্তমানে জঠিল “কিডনি” রোগাক্রান্ত! দুঃসহ এই অবলা জীবনে আহার জোগাড় করবো নাকি দুই দুইটা জীবন বাঁচানোর জন্যে সংগ্রাম করে যাবো বুঝে উঠতে পারছিনা।

মানুষের সাময়িক সাহায্য সাময়িক প্রশান্তি দ্যায় কেবল, দীর্ঘমেয়াদে কেবল আমার গ্লানি-ই বাড়ে।

মহোদয়
এই খোলা চিঠি যদি আপনার নজরে পড়ে, আমার স্থায়ী কোন সুরাহা করার ব্যবস্থা করবেন কী? সরকারি কোন এককালিক সাহায্য নয়, নয় ত্রাণ তহবিল কিংবা সাময়িক চিকিৎসা অনুদান। এর কোনটাই আমার জীবনের স্থায়ী সামাধান না। যদি সম্ভব হয় সুগন্ধা বিচ পয়েন্টে পুলিশ বক্সের পাশে খালি যায়গায় আমাকে বিশটা কিটকট চেয়ার বসানোর ব্যবস্থা করে দিবেন। এই অসহায় জীবনের একটু সুরাহা অন্তত হবে তাতে।

আমি জানি, আপনার সুদক্ষ পরিচালনাধীন বিচ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির এই সহযোগিতা আমার জীবনে ভীন্ন এক মাত্রা যোগ করবে। এই অবলা অন্ধকার জীবনে আলো আসতে পারে আপনাদের এই অসামান্য সহযোগিতায়। তাই এই সাহস ও আশা নিয়ে এই চিঠি আমার। বাঁচতে চাই, আমার প্রিয় মানুষগুলোকে বাঁচাতে চাই। এই রাষ্ট্র নিশ্চয় মানবিক। সেই মানবিকতার স্পর্শে জীবন বাঁচুক।

নিবেদনে
জয়নব বেগম
সমিতি পাড়া, ওয়ার্ড নং-১
কক্সবাজার পৌরসভা
01319555948


শেয়ার করুন