জেলা আ. লীগের নতুন কান্ডারি সিরাজুল মোস্তফা ও মুজিব চেয়ারম্যান

5 (1)শাহেদ ইমরান মিজান, সিটিএন:

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কান্ডারি হলেন এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও মুজিবুর রহমান। রোববার হিলটপ সার্কিট হাউজে এক বৈঠক শেষে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন। সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি এডভোকেট একে আহমদ হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে রোববার বেলা তিনটার দিকে কক্সবাজার হিলটপ সার্কিট হাউসে এক বৈঠক হয়। বৈঠকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। একই সাথে বৈঠকে রাখা হয় কাউন্সিলের সব প্রার্থী, সদ্য সাবেক জেলার সভাপতি আহমদ হোসেনসহ জেলার কয়েকজন শীর্ষ নেতা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের। বৈঠকে প্রথমেই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কাউন্সিল নিয়ে সব প্রার্থীর সাথে কথা বলেন। একই সাথে উপস্থিত জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের মতামত নেন। এসময় তিন সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, সাইমুম সরওয়ার কমল ও আবদুর রহমান বদিও উপস্থিত ছিলেন। সবার মতামত নিয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন। সব প্রক্রিয়া শেষে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে সিরাজুল মোস্তাফাকে সভাপতি ও মুজিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। তার ঘোষণা মেনে নিয়ে সব প্রার্থী একাত্মতা প্রকাশ করেন। এরপর সব প্রার্থীর সংক্ষিপ্ত মতামত জানতে চান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মতামত ব্যক্তকালে সবাই ঘোষিত নেতৃদ্বয় সমর্থন ও স্বাগত জানান এবং আগামীতে দলের স্বার্থে সব ধরণের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। 12565636_643468185791686_8230915729861755309_n

কমিটি ঘোষণার পরপরই বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ান দেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। তাঁদের বিদায় দেয়ার পর সিরাজুল মোস্তফা ও মুজিবুর রহমান প্রথমে প্রয়াত সভাপতি মোজাম্মেল হকের কবর জিয়ারত করেন। কবর জিয়ারতের পর তারা যান মোজাম্মেল হকের বাসায়। সেখানে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাসেদুল হক রাসেদের সাথে সাক্ষাত করেন তারা। এসময় মোজাম্মেল পরিবারের সাথে মুজিবুর রহমানের যে দ্বন্দ্ব চলছে তা নিয়ে আলাপ করেন। আলাপ করে মুজিবুর রহমান ও মাসেদুল হক রাসেদকে মিল করেন দেন সিরাজুল মোস্তফা। এর প্রেক্ষিতে দু’জন কোলাকুলিও করেন। পরে এক স্বাগত মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত সভায় মিলিত হন।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে প্রার্থীরা মেনে নিলেও মানতে পারছে না অনেক কাউন্সিলর ও অনেক সাধারণ নেতাকর্মীরা। সরাসরি কাউন্সিলরদের ভোটে কমিটি নির্বাচন না করায় অনেককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।


শেয়ার করুন