জেলায় ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে নিহত ১৪, ঢলের পানিতে নিখোঁজ ৩

ইসলাম মাহমুদঃ

কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া ও মহেশখালীতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধস ও পানিতে ডুবে ১৪ জন নিহত হয়েছে। ঈদগাঁওতে ঢলের পানিতে তিন জন নিখোঁজ রয়েছে।

টেকনাফে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ভিলেজারপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মাটির নিচে চাপা পড়ে যায় ওই এলাকার সৈয়দ আলমের পাঁচ সন্তান। সেখান থেকে প্রথমে দুই জন ও পরে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে ২৭ জুলাই হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা গ্রামের রকিম আলীর পাহাড় ধসে মৃত্যু হয়।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাহাড় ধসের ঘটনায় ৪নং ওয়ার্ডের সৈয়দ আলমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির পাশের পাহাড় ধসে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

তিনি রাত ৩ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, টানা ভারী বর্ষণে হ্নীলা ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে লাখ লাখ টাকার লবণ। ভেঙ্গে গেছে শত শত ঘর-বাড়ি।

উখিয়া রোহিঙ্গা ক‌্যাম্পে পাহাড় ধস ও পানিতে ডুবে শিশুসহ ছয় জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা নয়ন এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহতদের মধ‌্যে একজন শিশু রয়েছে। সে পানিতে ডুবে মারা গেছে।

অপর দিকে ভারী বর্ষণের কারণে মহেশখালীতে দুইজন নিহত হন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারে পাহাড় ধস রোধে নেই টেকসই কোনো ব্যবস্থাপনা বা পরিকল্পনা। ফলে প্রতিবছরই পাহাড় ধস বা পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। বর্ষা এলে এই আতঙ্ক বেড়ে যায়।

কক্সবাজার বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট বনভূমির পরিমাণ ৭৩ হাজার ৩৫৮ হেক্টর। এরমধ্যে অবৈধ দখলে রয়েছে ৯ হাজার ৬৫৭ হেক্টর বনভূমি। পাহাড়ি জমিতেই বসবাস করছে ১৩ হাজার ৮২৬টি পরিবারের তিন লাখ মানুষ। তারা পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।

কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাস স্টেশনের পূর্ব পাশে দরগাহ এলাকায় ঢলের পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে ৩ যুবক নিখোঁজ হয়েছে।

বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

খবর পেয়ে দমকলবাহিনীসহ স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।


শেয়ার করুন