জেলাজুড়ে সুনাম কুড়াচ্ছে সোনারপাড়া হেফজখানা

2baa718e-10e5-4697-a4c3-805c664492acনিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার জেলার উখিয়ার উপকূলীয় এলাকার প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোনারপাড়া আহম্মদিয়া হেফজখানা দীর্ঘ তিন যুগ ধরে কুরআনের হাফেজ তৈরীতে অনন্য অবদান সরূপ দেশব্যাপী সুনাম কুড়াচ্ছে।
জানা যায়, সোনারপাড়া আহম্মদিয়া ছুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মাওলানা ছালামত উল্লাহ ও মরহুম মাওলানা আশরফ আলীর বিচক্ষণ চিন্তার প্রয়াসে ১৯৮৩ সালে অজেপড়া গাঁয়ে উপকুলের মানুষের সহযোগিতা নিয়ে কুরাআনের এই বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়।
সেই থেকে এই পর্যন্ত প্রায় দুই সহ¯্রাধিক ছাত্র এই প্রতিষ্ঠান হতে কুরআনের হাফেজ হয়েছে। বিশেষকরে দক্ষিণ চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠানটির কদর রয়েছে অন্যভাবে। ১৯৮৭ সালে কুরআনের হাফেজ হওয়া প্রতিষ্ঠানটির ছাত্র মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, আমরা যারা ছোট বেলায় কুরআন মুখস্ত করার জন্য খুবই আগ্রহী ছিলাম, তারা সবাই সোনারপাড়া হেফজখানাকে পছন্দ করত। এভাবে আমার ন্যায় আজ পর্যন্ত দুই হাজারের অধিক ছাত্র বের হয়েছে।
এটা শুধু উখিয়াবাসীর জন্য নয়, পূরো জাতির জন্য বিশাল নেয়ামত। আরেক ছাত্র হাফেজ ইউসুপ নুর বলেন, আমি যখন ১৯৯৭ সালে হাফেজ হয়ে বের হয়, এলাকার সবাই এক নজরে আমাকে দেখার জন্য বাড়ীতে ভীড় জমায়। কিন্ত দু:খের বিষয় হচ্ছে এক শ্রেণীর মানুষ, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
ইসলামী শিক্ষা সম্প্রসারণের মহান এই উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত¦ভার গ্রহণ করেন মাওলানা ছলামত উল্লাহর কনিষ্ঠ পুত্র মাওলানা রহমত উল্লাহ। তার আশু উদ্যোগে সর্বাত্তক সহযোগিতায় ছিলেন এলাকার ধর্মপ্রাণ লোকজন। তার এমন উদ্যোগের প্রতি কতিপয় অসাধু লোকজন বিরূপ মনোভাব দেখালেও সর্বশ্রেণীর পেশার লোকজন তাঁর সুন্দর উদ্যোগকে সহযোগিতা করেই চলছে।
এমনকি প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর আন্ত:দেশীয় হিফজ প্রতিযোগিতায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন এবং ধারবাহিকভাবে ১ থেকে দশজন ছাত্র হাফেজ হয়ে বের হচ্ছে।
হাফেজ আব্দুল আলম নামের আরেক ছাত্র বলেন, এখানকার ছাত্ররা দেশের বাইরে গিয়ে পড়ালেখা করছেন। যারা নিজেরা প্রতিষ্ঠান করে কুরআন শিক্ষা দিচ্ছে। যার কারণে আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান সরকারী ও বেসরকারীভাবে বেশ কয়েকবার অনুদান পেয়েছে। বর্তমানে ২জন শিক্ষকের তত্তাবধানে সেখানে ষাটজন ছাত্র কুরআন শিখতেছে।
সোনারপাড়া দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ এস এম ছৈয়দ আলম বলেন, ইসলামী তাহ্যিব তামাদ্দুন বিকাশে সোনারপাড়া হেফজখানা বরাবরের ন্যায় অবস্মরণীয় অবদান রেখে চলেছে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে উত্তোরত্তর সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্ঠা করে যাচ্ছি।
হেফজখানার পরিচালক মাওলানা রহমত উল্লাহ বলেন, আমি আমার পিতার গড়ে তুলা কুরানের বাগানকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার মানসিকতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি, যেন এলাকার গরিব ছাত্ররা সহজে সুন্দর পরিবেশে কুরআন শিখতে পারে।


শেয়ার করুন