জামাই পুলিশ বলে কথা!

704e7458-ef69-43cb-92b9-0aaf7cf51708শফিক আজাদ, ষ্টাফ রিপোর্টার

উখিয়ায় জামাই পুলিশ বলে কথা! এই জন্যই বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ। কোন মতেই ঠেকানো যাচ্ছে না এ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ। ক্ষমতাধারী জামাই পুলিশের শ্বাশুড়ী আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে চালিয়ে যাচ্ছে নির্মাণ কাজ। ভূক্তভোগীরা পুলিশের সহযোগিতা চাইলেও কোন কাজ হচ্ছে না। অথচ, ক্ষমতাবান জামাই পুলিশের শ্বাশুড়ীর বিরুদ্ধে বলবৎ আছে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা। ইতিমধ্যে জোরপূর্বক জবর দখল করে নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা নির্মান কাজ নিয়ে বিরাজ করছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা। থানা পুলিশের দু’তিয়ালী ভূমিকার কারণে যে কোন মুহুর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা করছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ওয়ালাপালং মৌজার বি.এস ১১২২,বি এস ১১২৩ নং খতিয়ানের ৭১৩৯,৭১৩৮ দাগের আন্দরে হাজীর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত ছৈয়দুর রহমানের পুত্র মোক্তার আহমদ ওয়ারিশী সূত্রে প্রাপ্ত ০.৮৩ একর জমির প্রকৃত মালিক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি জামাই পুলিশের ক্ষমতাবলে বলীয়ান হয়ে শ্বাশুড়ী ছমুদা খাতুন ও অন্যান্য বিবাদীগণ জমি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করে আসছেন। ভূক্তভোগী মোক্তার আহমদ তাঁর ভোগ দখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১০৪৯/১৫। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত গত ২৯/১২/১৫ইং তারিখ ১৯৭৬নং আদেশ মূলে বিবাদীগণকে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রচার করেন। এক্ষেত্রে ক্ষমতাবান পুলিশের শ্বাশুড়ী আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে সদল বল নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রকার তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্চে স্থাপনা নির্মাণ কাজ। বিজ্ঞ আদালত এ ব্যাপারে উখিয়া থানা পুলিশকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলেও কাজ হচ্ছে না। থানা পুলিশও একইভাবে ক্ষমতাবান পুলিশ শ্বাশুড়ী বেআইনী কর্মকান্ডে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করছে না। যে কারণে স্থানীয় সচেতন মহলের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। নাম প্রকাশ না করের শর্তে অনেকে জানিয়েছেন, পুলিশ কেন পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে? এই তো অসহায় ব্যক্তিদের একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাঁই সম্বলটুকু পুলিশের শ্বাশুড়ী কর্তৃক জোরপূর্বক জবর দখল ও অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। তারা একে দূর্বলের উপর সবলের জোর দবস্তি বলে উল্লেখ করেছেন। ভুক্তভোগী মোকতার আহমদ ও লুৎফুর রহমান সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ওয়ালাপালং মৌজার ১১২২ নং খতিয়ানের ৭১৩৯ দাগ মূলে ০.৮৩ একর জমির দখল-আমল মালিক। বিবাদীগণ স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় এবং জামাই পুলিশের ক্ষমতার বাহুবলে আমাদের স্বত্ত্ব দখলীয় সহায় সম্বলটুকু জোরপূর্বক কেড়ে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে। তারা আরো জানান, বিজ্ঞ আদালত স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও জামাই পুলিশের বেআইনী ক্ষমতা খাটিয়ে নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে। তারা এ ব্যাপারে আদালতের বিশেষ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উখিয়া থানার ওসি মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য থানার উপ পরিদর্শক মোঃ শাহজান কামালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


শেয়ার করুন