জাতীয় সংলাপের আহ্বান ৫ রাজনৈতিক দলের

dr_kamal_4_banglanews24_553778884সিটিএন ডেস্ক:
ঢাকা: দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি অবসানে সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় সংলাপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন পাঁচটি রাজনৈতিক দলের নেতারা।

সোমবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণফোরাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, জেএসডি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি ও নাগরিক ঐক্যের আয়োজনে মানববন্ধন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সংবিধান রক্ষার নির্বাচন। অথচ আজ মানুষকে প্রকাশ্যে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অসাংবিধানিক আদেশ দিয়ে সংবিধান রক্ষা করা যায় না। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ অসাংবিধানিক কাজ করছে।

তিনি বলেন, জনগণ কার্যকর গণতন্ত্র চায়। জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে জনগণকে। এর জন্য অতি দ্রুত সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় সংলাপের আয়োজন করতে হবে।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, অনতিবিলম্বে দেশের নাজুক পরিস্থিতির অবসান না ঘটাতে পারলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা রাজপথে নামবো।

মানববন্ধনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। সরকার চোরের সরকার। চোরদের মুখে বড় বড় কথা মানায় না।

তিনি বলেন, সরকার আন্দোলনকারীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিচ্ছে, যা আইয়ূব-ইয়াহিয়ার আমলেও ছিল না। রক্ত দিয়ে কেনা এদেশ কোনো ব্যক্তির একক ইচ্ছায় চলতে পারে না।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশের বর্তমান সংকটের একমাত্র সমাধান শেখ হাসিনা। ৠাব-পুলিশকে গুলির আদেশ দেওয়া হচ্ছে। এর পরেও যদি দেশের সংকট নিরসন করতে না পারেন তবে পদত্যাগ করুন।

মানববন্ধনে ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মনসুর বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে দেশ একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জাতীয় সংলাপ ও নির্বাচন জরুরি।

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, অবরোধে এ পর্যন্ত ৩০-৩৫ জন মানুষ মারা গেছেন। সরকার এক ও দুই টাকার নোট বাতিল করে দিচ্ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। গরিব মানুষের বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলছে দেশ। এর অবসানে শিগগিরই সংলাপ প্রয়োজন।


শেয়ার করুন