জনগণ ডামি নির্বাচনের ফলাফল-শপথ প্রত্যাখ্যান করেছে : রিজভী

সিটিএন ডেস্ক:

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব আওয়ামী লীগের ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনাকে জণগণ চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, ফলাফল, শপথ, সংসদ, সরকার সবকিছুই প্রত্যাখ্যাত।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার আবু আশফাক, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল আলম তেনজিং, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব মো. আবদুর রহিম প্রমুখ।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতির ইতিহাসে ডামি প্রার্থী, ভোটার, এজেন্ট, পর্যবেক্ষক, ফলাফল, এমপি, শপথের মধ্য দিয়ে গতকাল ওয়ান ইলেভেনের দিনে আরেকটি কৃষ্ণতম মেকি সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছে। ৭ জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচনটি ছিল গণতন্ত্রকামী জনগণের আন্দোলনের পক্ষে এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ডামি নির্বাচন বর্জনের পক্ষে একটি সুস্পষ্ট গণরায়। এই ডামি সরকার ওয়ান ইলেভেনের ধারাবাহিকতা মাত্র।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি, এই দিনে গভীর ষড়যন্ত্রের নীলনকশার মাধ্যমে দেশটাকে প্রভুদের করদ রাজ্যে পরিণত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় আবারও সেই একই দিনে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করল বর্তমান সরকার।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ডামি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগ আর তাদের ডামি শরিকদের মধ্যেই শুরু হয়েছে গৃহদাহ। গত বুধবার শেখ হাসিনা গতবার রাতে ভোট হওয়ার স্বীকারোক্তি দিয়ে “এবার দিনের ভোট রাতে হয়েছে বলার ক্ষমতা নেই” -বলে তাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিবাদ—গৃহদাহ নিরসন করতে চাইলেও ব্যর্থ হচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের পরাজিত নেতারাই শেখ হাসিনাকে অবৈধ ভোটের প্রধানমন্ত্রী উপাধি দিচ্ছেন। এবার যে নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি হয়েছে তা নিজেরাই সংবাদ সম্মেলন করে তুলে ধরছেন। এতদিন দেশের সমস্ত জনগণ বলেছে, আমরা বলেছি। আর এখন তারা নিজেরা বলছেন। সংসদে বিদ্যুৎ বিক্রি করা এক গানের শিল্পী বলেছেন, ‘মৃত মানুষ, বিদেশে আছে তাদের ভোটও দেওয়া হয়েছে।

রিজভী বলেন, এই প্রতারণার ডামি নির্বাচনকে কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। অচীরেই এই সরকার চোরাবালিতে হারিয়ে যাবে। কারণ এরা অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য নিপীড়নের সকল রেকর্ড ভেঙে, বিশ্বমানবতার শত্রু হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।


শেয়ার করুন