ছিনতাইকারী ইসমাঈল নিহতের ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া

13563255_483663708505235_1130915029_nশাহেদ ইমরান মিজান, সিটিএন:
কক্সবাজার শহরের পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী ঈসমাইলের (২৮) গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়া চলছে। শুক্রবার ৯টা পর্যন্ত মামলা এজাহার প্রস্তুত করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর মডেল থানা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নতুন জেলখানার পেছনের সিকদার ঘোনা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সন্ত্রাসী ইসমাইল রুমালিয়ারছড়া সমিতি বাজার এলাকার দিল মোহাম্মদের পুত্র।
কক্সবাজার সদর থানার এসআই আব্দুর রহিম জানান, সদর মডেল থানার একদল টহল পুলিশ দায়িত্ব পালনকালে সিকদার ঘোনা এলাকায় একটি গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তারা তাকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সোলতান আহমদ সিরাজী জানান, হাসপাতালে আনার অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার সূত্রে জানা গেছে, নিহত ইসমাঈল পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী। সে হত্যা, ভূমি দখলসহ বহু অপকর্মের হোতা। ঈসমাইলের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় ছিনতাই, হত্যা, ভূমি দখলের অভিযোগে ডজনখানেক মামলা রয়েছে। তবে কি কারণে; কাদের গুলিতে ইসমাঈল নিহত হয়েছে তা জানাতে পারেননি পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের হাতেই সন্ত্রাসী ইসমাঈল নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, নিহত ছিনতাইকারী ইসমাঈল কারান্তরীণ শহরের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রকির নেতৃত্বাধীন রকি বাহিনীর সদস্য। সে রকি বাহিনীর পক্ষ হয়ে ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করতো। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শহরের রুমালিয়ারছড়া কেন্দ্রিক একটি বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ করতো ঈসমাঈল। ওই বাহিনীর হাতে বৃহস্পতিবার সাবমেরিন ক্যাবল এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন ক্রিকেটার মুমিনুল হক সৌরভের ছোট বোনের জামাই। এছাড়াও ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত ছিনতাই চালিয়ে আসছিল ওই সন্ত্রাসী বাহিনী।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ইসমাঈলকে কারা গুলি করে হত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।


শেয়ার করুন