ছাত্রলীগের সভাপতি পদে ৮০, সম্পাদক পদে ১৬২ প্রার্থী

114899_1ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ২৮তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন আজ শনিবার সকালে শুরু হবে। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন শেষ হবে আগামীকাল রবিবার। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই বছর পর পর ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও এবারের সম্মেলন হচ্ছে চার বছর পর।

সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য দুই শতাধিক নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৮০ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬২ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

কাউন্সিল উপলক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ। তিনি জানান, বর্ষাকালে আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে মঞ্চ, প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। সম্মেলন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রকাশনার কাজ কয়েক দিন আগেই শেষ করা হয়েছে।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সঙ্গে যুক্ত ছাত্রলীগের একাধিক নেতা জানান, কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট হবে কি না সে বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ভোটের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

কাউন্সিলরদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া সারা দেশ থেকে আসা কাউন্সিলরদের খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাত বিভাগের কাউন্সিলরদের জন্য সাতটি বুথ রাখা হবে। সেখান থেকে কাউন্সিলরদের বিভিন্ন বিষয় সমন্বয় করা হবে।

আজ সকাল ১০টায় সম্মেলন শুরু হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা বক্তব্য দেবেন। এরপর নানা সেশনে সম্মেলনের কাজ শেষ করা হবে। আগামীকাল সকালের আগেই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হবে।

২০১১ সালের ১০ জুলাই ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল। সে সময় বদিউজ্জামান সোহাগ সভাপতি ও সিদ্দিকী নাজমুল আলম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ কমিটির মেয়াদ দুই বছর হলেও তা নানা কারণে চার বছর পার করে।

এরফলে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর নেতৃত্ব প্রত্যাশী অনেক ছাত্রলীগ নেতা হতাশ। কারণ ইতোমধ্যেই তাদের বয়স ২৯ বছর পেরিয়ে গেছে।

ছাত্রলীগের পদ পেতে হলে ২৯ বছর বয়স থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

তবে এবার বয়স বাড়িয়ে ৩০ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।


শেয়ার করুন