চার মামলা, নয় অভিযোগ ও দু’অবুঝ শিশু; বাঁচতে চায় সাইফুল পুতু

প্রতীকী ছবি

বার্তা পরিবেশক।।
তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীর দায়ের করা একের পর এক মামলার বুঝা নিয়ে দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছে ডুলাহাজারার ষোলহিচ্ছা গ্রামের সাইফুল ইসলাম পুতু। একদিকে স্ত্রী-শ্বশুরের দায়ের। করা চার মামলা ও নয় অভিযোগ, অন্যদিকে সাত বছরের রাফি, চার বছরের রাজের দেখা শুনা।

দু’বিষয় সামাল দিতেই পাগল প্রায় সাইফুল ইসলাম পুতু। দু’ফুটফুটে শিশু সন্তানকে ফেলে গত ৯জুন পুতুর ঘর ছেড়েছে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী শাহীন সুলতানা। যাওয়ার সময় শাহীন সুলতানা দীর্ঘ ১০ বছরের সংসার জীবনের সব স্মৃতি ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে গেছে। চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ষোলহিচ্ছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্ত্রীর বিচ্ছেদে কাঁতর সাইফুল ইসলাম পুতু স্থানীয় মৃত বাহার উল্লাহর পুত্র। আর পুতুর তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী শাহীন সুলতানা কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলির মৌলভীপাড়ার নুরুল হক কাদেরীর কন্যা।

স্ত্রীর বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ করে স্বামী সাইফুল পুতু জানান, স্থানীয় মেম্বারের সাথে স্ত্রীর পরীকিয়া প্রেম আমার সাজানো গোছানো ১০ বছরের সংসারটি তছনছ হয়ে গেলো। শ্বশুর নুরুল হক কাদেরী ও লম্পট মেম্বারের ইন্ধনে আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করে।

এতে আমি দীর্ঘদিন জেল খেটে সম্প্রতি কারাগার থেকে জামিনে বের হই। এরপর দেখি তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী আমার বাড়ি দখল করে আছে। আমি চকরিয়া সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করি। স্ত্রীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে থানায় দু’বার অভিযোগ দিয়েও বিচার পায়নি। শেষ পর্যন্ত আমার সংসারটি তছনছ করে অবাধ্য স্ত্রী দু”শিশু সন্তান রেখে ঘর ছাড়লো।

কিন্তু আমি ও আমার পরিবার রেহাই পায়নি। শাহীন। সুলতানা ঘর ছাড়ার চারদিন পর গত ১৩ জুলাই আমাকে ১নং আসামী করে পরিবারের ৮ সদস্যের নামে চকরিয়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এই মামলার কারণে আমার অবুঝ শিশুদের ঠিকমত সময় দিতে পারছিনা।
আমি এই সিরিজ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই,অন্যায়ের বিচার চাই।


শেয়ার করুন