ঘুমধুমে নির্মিত হচ্ছে স্থলবন্দর, এলাকায় প্রাণ চাঞ্চল্য

pic-ukhiyacox-09032017এস.আজাদ, উখিয়া:
সরকার আসে আর যায়, প্রতিশ্রুতি শেষ হয়না। স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যায়। কিন্তু এবার তারই ভিন্ন, কথা দিয়ে কথা রাখলেন বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার ৪৬বছর পর পূর্ণ হলো সকারের প্রতিশ্রুতি আর সীমান্তবাসির স্বপ্ন। খুলতে যাচ্ছে দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের দুয়ার। এমন আশারবাণী শুনালেন বর্তমান সরকারের নৌ-পরিবহরণ মন্ত্রী শাহজাহান খাঁন। তিনি গত শুক্রবার সরকারি সফরসূচীর অংশ হিসেবে পুর্বের নির্ধারিত উখিয়ার পাশর্^বর্তী ঘুমধুম সীমান্তে স্থলবন্দর নির্মাণের ঘোষনা দিয়ে বলেন, ঘুমধুমে স্থল বন্দর চালু হলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার মধ্যে সম্পর্কের আরো উন্নয়ন হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি অসংখ্য বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। বর্তমানে সরকারের পূর্ব পরিকল্পনা এ স্থল বন্দর দ্রুত চালু করার জন্য সরকার কাজ করছে। এ নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং বান্দরবানের সাংসদ বীর বাহাদুর উশৈসিং নিয়ে মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে স্থল বন্দর বাস্তবায়নে আরো কোন বাধা রইলনা। পর্যায়ক্রমে নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালাসহ ৩পার্বত্য জেলায় আরো ৪টি স্থলবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। মন্ত্রীর এমন ঘোষনার সাথে সাথে হাজার হাজার উপস্থিত জনতার করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো সভা প্রাঙ্গন। সীমান্তবাসির এহেন বাধ ভাঙ্গা উল্লাস দেখে মুগ্ধ হয়ে যান মন্ত্রী শাহজাহান খাঁন। এসময় নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যাশৈহ্ল, বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, বান্দরবান পৌর মেয়র ইসলাম বেবী, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিনসহ স্থানীয় রাজনৈতিক এবং জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঘুমধুম ইউনিয়ন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর জানান, আমাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী আজ পূর্ণ হতে চলেছে। যার জন্য বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি খালেদ সরওয়ার হারেচ সরকারকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মিত হলে প্রায় ৪লক্ষ মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়ন গড়বে। তিনি এসময় ঘুমধুম স্থলবন্দর নির্মাণে নিরলসভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

 


শেয়ার করুন