গেরিলা পদ্ধতিতে কোরবানি দেবে জামায়াত!

2015_09_11_09_56_59_mmZsYOhG92ZFMVbWyKsV2Jd7v75ISB_originalসিটিএন ডেস্ক :

দেশে রাজনৈতিক অঙ্গন আপাতত স্থবির থাকলেও স্বাভাবিক জীবন ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে ফিরে আসতে পারছে না জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। তাই আসন্ন ঈদুল আজহায় অনেকটা গেরিলা পদ্ধতিতে কোরবানি দেবেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। শুধু তাই নয়, নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে এবং নিজ এলাকার বাইরে অন্য এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন তারা। জামায়াতের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে এমন তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, দীর্ঘ ধরে স্বাভাবিক জীবন ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে ফিরে আসতে পারছে না জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এখনো কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরী থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ের অনেক নেতাদের গা ঢাকা দিয়ে থাকতে হচ্ছে। রাজপথে কোনো কর্মসূচি না থাকলেও নেতাকর্মীদের এখন পুলিশ পিছু ছাড়ছে না। কেন্দ্র থেকে শুরু করে ইউনিয়ন-ওর্য়াড পর‌্যায়ের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। নেতাকর্মীরা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর জেলগেট থেকে পুনরায় গ্রেপ্তার হচ্ছে। দলটি দাবি করছে, রাজপথে সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচি না থাকলেও জামায়াত শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ।

একটি উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলামেইলকে বলেন, ‘এলাকার পরিবেশ এখনও শান্ত হয়নি। পুলিশ প্রায়ই ঝমেলা করে। এসব কারণে দুই বছর ধরে বাড়ি ঈদ করতে পারি না। পরিবারের সদস্যরা এখন ঢাকায় আছে। ঢাকাই ঈদ করবো।’

জামায়াতের কেন্দ্রীয় শূরার একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,‘ গ্রেপ্তার আতঙ্কে তিনি নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করতে পাড়ছেন না কয়েক বছর ধরে। বাড়ি গেলেই পুলিশ আসে। তাই পরিবারের সদস্যদের ছাড়াই ঈদ করতে হয়।’

এবার কোরবানিতে বাড়ি যাবেন কী না এমন প্রশ্ন করলে ওই জামায়াত নেতা বলেন, ‘না। পুলিশ এখনও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের পিছু ছাড়ছে না। বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। এক মামলায় জামিন নেয়ার পর আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়। এসব বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশনা আছে।’

জামায়াতের অপর এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘জামায়াতের যেসব নেতার সামর্থ আছে, তারা কোরবানি দেবেন। এক্ষেত্রে অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত না থেকেই পরিবারের অন্য সদস্যের উপস্থিতিতে কোরবানি দেবেন তারা।’

নেত-কর্মীরা নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় না করে অন্য এলাকায় পরিচয় গোপন রেখে নামাজ আদায় করবেন বলে জানান জামায়াতের এই নেতা।

তিনি আরে বলেন, ‘অন্য এলাকায় নামাজ পড়লে কেউ চেনে না এবং ষেখানে হয়রানি হওয়ার সম্ভবনাও কম।


শেয়ার করুন