কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হল বৌদ্ধ ধর্মীয় বৃত্তি পরীক্ষা’১৫

বার্তা পরিবেশক:শাসনবংশ প্রভাতী সদ্ধর্ম শিক্ষা নিকেতনের উদ্যোগে কক্সবাজারে অনুষ্টিত হল বৌদ্ধ ধর্মীয় বৃত্তি পরীক্ষা-২০১৫। এতে ৪টি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট ৯৩৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রে ৪৩০ জন, মরিচ্যা পালংস্থ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৪৫ জন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার রেজু বড়ইতলী নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১১৩ জন ও রামু উপজেলার রাংক’টস্থ জগৎজ্যোতি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৪৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। গত ২৩ জানুয়ারী শুক্রবার ৪টি কেন্দ্রে একযোগে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়। লিখিত ও মৌখিক ২ পর্বে পরীক্ষার্থীরা অংশ নেন। কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, চকরিয়া, মহেশখালী ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ পল্লীর শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় প্রতি বছর অংশ নিয়ে আসছে।

কেন্দ্র পরিদর্শন ও সার্বিক পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা তদারকি করেন উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল করিম ও উখিয়া নুরূল ইসলাম চৌধূরী টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মিলন বড়–য়া।

আগামী মে মাসে বুদ্ধ পূর্ণিমা তিথির আগে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও বুদ্ধ পূর্ণিমা দিবসে বৌদ্ধ মহাসম্মেলনে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও নগদ আর্থিক অনুদান প্রদান করা হবে। গত বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত ১২০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও দেড় লক্ষাধিক টাকা নগদ অনুদান হিসেবে বিতরণ করা হয়। এ বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও আর্থিক অনুদানের পরিমান বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিগত ২০০৩ সাল থেকে শুরু হয়ে এ বছর অনুষ্টিত হল ১৩ তম বৌদ্ধ ধর্মীয় বৃত্তি পরীকাষা-২০১৫।

বৌদ্ধ ধর্মীয় বৃত্তি পরীক্ষার প্রবর্তক ও প্রধান নিয়ন্ত্রক শ্রীমৎ কুশলায়ন থের জানিয়েছেন, তার উপাধ্য গুরু বিশিষ্ট বৌদ্ধ মনীষা, উখিয়ার পশ্চিম রতœা সুদর্শন বিহারের অধ্যক্ষ প্রয়াত শ্রীমৎ শাসনবংশ মহাথের’র স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন স্বরুপ ধর্মীয় বৃত্তি পরীক্ষার প্রচলন। বৌদ্ধ শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা ও বৌদ্ধিক আর্দশে গড়ে তোলার উদ্দ্যেশে মূলতঃ মহতী এ উদ্যোগ। একটি নির্ধারিত সিলিবাসের ভিত্তিতে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্টানের তৃতীয় শ্রেণী ( ধর্মীয় বৃত্তি পরীক্ষার প্রথম শ্রেণী ) হতে অষ্টম শ্রেণীর ( ধর্মীয় বৃত্তি পরীক্ষার পঞ্চম শ্রেণী ) পর্যন্ত অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে।
তিনি জানান, নিজের প্রাপ্ত শ্রদ্ধানুদান ও কিছু সমাজ হিতৈষী ব্যক্তির আর্থিক অনুদানের উপর ভিত্তি করে এ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়ে আসছে। ভবিষ্যতে একে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে।


শেয়ার করুন