গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু

নিউজ ডেস্ক:
আলটিমেটামের পর গাজায় স্থলপথে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। শনিবার (১৪ অক্টোবর) ভোর থেকে এ অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এর আগে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ২৪ ঘণ্টার অলটিমেটাম দেয় ইসরায়েল। খবর বিবিসির।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ফোর্স (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা গাজায় সন্ত্রাসী সেল ও স্থাপনার হুমকি দূর করতে অভিযান শুরু করেছে। এ এলাকায় আটক জিম্মিদের উদ্ধারে নানা প্রমাণও সংগ্রহ শুরু করেছে তারা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও পোস্ট ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। তারা বলছে, ইসরায়েলের ফোর্স হামাসকে লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে। তারা ফিলিস্তিনের হামলার জবাবে তাৎক্ষণিক ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে।

ইসরায়েলের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, আইডিএফ গাজা উপত্যকাকে সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাস ও অস্ত্রমুক্ত করতে অভিযান শুরু করেছে। তারা ফিলিস্তিনিদের হাতে আটক ইসরায়েলি বন্দিদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার গাজার প্রায় ১১ লাখ বাসিন্দাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। তাদের এই নির্দেশনার জবাবে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস বলছে, ইসরায়েলের নির্দেশ মানা হবে না, গাজাবাসী তাদের ঘর ছেড়ে কোথাও যাবে না।

হামাসের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ব্যুরোর প্রধান বাসেম নাইম আলজাজিরাকে বলেন, আমাদের সামনে দুটি পথ আছে। এক. ইসরায়েলি নিপীড়নের অবসান ঘটানো। দুই. আমাদের ঘরে বসে থেকে মৃত্যুবরণ করা। তাই ১৯৪৮ সালের মতো আমরা আরেকটি নাকবা বা বিপর্যয় ঘটাতে চাই না। তখন ইসরায়েলের নিপীড়নের মুখে ৭ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের ঘর ছেড়ে পালিয়েছিল।

অন্যদিকে ইসরায়েলের আগ্রাসনকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ফিলিস্তিন। জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে এ যুদ্ধের লাগাম টানতে আরও পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর বলেন, তার (জাতিসংঘ মহাসচিব) অনেক কিছু করার আছে। এখন পর্যন্ত যা করা হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ঠেকাতে আমাদের আরও অনেক কিছু করার আছে।


শেয়ার করুন