গাছটি হেলে পড়ায় তারও একটি বাড়ি হলো…

dc298511-8bec-4ce2-888e-f4ad8ec48fdcশাহনেওয়াজ জিল্লু, কক্সবাজার ॥

ভূমিহীন একটি পরিবার। মেয়েটির নাম হামিদা। স্বামীর নাম আবু ইউছুফ। তাদের রয়েছে আরোও তিন কন্যা সন্তান। সবে মিলে পাঁচ জন। পেটের দায়ে কাজ নিতে ছুটে এসেছে কক্সবাজার শহরে। পর্যটন মৌসুমে শহরের যে পিকনিক স্পটটি রয়েছে তাতে দারোয়ানি করে সংসার চালায় কর্তা। কিডনী রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ভারি কাজও করতে পারে না সে। বর্তমানে ধারকর্য করেই চলে তাদের সংসার। ফের মৌসুম এলে আবারোও দারোয়ানের চাকরিতে যোগ অর্থ উপার্জন হবে সে আশায় দিন গুনছে। কোলের শিশুকে কাঁধে নিয়ে অন্যহাতে স্বামীর জন্যে দুপুরের খাবার নিয়ে যাচ্ছে হামিদা। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ঝুঁকি নিয়ে এভাবে সাকো পারাপারে দৃশ্যটি নজরে এলে ছবি তোলতে গেলাম।

সাথে সাথে হামিদা বলে উঠলো, ‘মজা লুটেন??’। জবাবে কিছু না বলে উল্টো প্রশ্ন করলাম আপনাদের বাড়ি নেই? জবাবে হামিদা বললো, ওই যে দেখতে পাচ্ছেন কালো পলিথিন দিয়ে মোড়ানো পাটের বস্তা দেওয়া ঝুপড়িটা আমার বাড়ি। গাছটি হেলে পড়েছে খালের উপর। আর হেলে পড়া গাছের শিকড়গুলো খুটির মত হওয়ায় কোন মতে পলিথিন পেছিয়ে একটি বাড়ি তৈরী করে ফেললাম। কেনাকাটা করতে বাজারে বা কোথাও যাতায়াত করেন কিভাবে? এইযে দেখছেন গাছটির মাঝের অংশ সাকোর মত হয়ে আছে। এটাতো সোজা রাস্তার সাথে যোগ হয়ে গেছে। এটা দিয়ে যাতায়াত করি। সন্তানগুলো কি পড়াশুনা করছে? হ্যা একটা ক্লাস ওয়ানে আরেকটা ক্লাস টুতে। আরেকটা তো কোলেই আছে। শিশুটির গায়ে হাত দিয়ে দেখি- গা পুড়ে যাচ্ছে প্রচন্ড জ¦রে। জিজ্ঞেস করলাম চিকিৎসা করাননি? গরীবের রোগ বালাই এমনিতেই সেরে যাবে।
উল্লেখ্য ছবিটি ১৩ জুলাই বেলা ৪টার দিকে কক্সবাজার শহরের লাবনী পয়েন্টের স্টেডিয়াম বাউন্ডারীর পাশ থেকে নেওয়া।


শেয়ার করুন