গর্জনিয়ায় ৭০ ঘনফুট গর্জন কাঠ জব্দ

unnamed (1)বিশেষ সংবাদদাতা:
এক সময় রামুর পূর্বাঞ্চলের সবুজ বন-বনানী পশু-পাখির হাঁক-ডাকে মুখরিত ছিল। পাখির ডাকে ঘুম ভাঙতো পল্লীগ্রামের মানুষের। আজ সেদিনগুলো হারিয়ে গেছে। ভারসাম্য হারাচ্ছে এ অঞ্চলের প্রকৃতি। দ্রুত বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ। পরিবেশবিদরা এ জন্য নির্বিচারে বনজ সম্পদ উজাড়, অব্যাহতভাবে পাহাড় কাটা ও তামাক চাষকেই দায়ি করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রামুর বাঘখালি রেঞ্জের আওতাধিন গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে সৃজিত বনাঞ্চল বনখেকোদের দৌরাত্ম্যে সাম্প্রতিক সময়ে উজাড় হয়ে যাচ্ছে। বনরক্ষীদের দুর্বলতার কারণে একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র দিনের পর দিন বনাঞ্চল উজাড় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ওই চক্রটি বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাতের আঁধারে বনাঞ্চল থেকে অবৈধভাবে কাঠ কেটে পাচার করার সময় বনরক্ষীদের জালে আটকা পড়েছে।
গিলাতলী বন বিট কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বুধবার রাত ১১টার দিকে বন বিটের নতুন কার্যালয় সংলগ্ন বাঁকখালী নদীতে অভিযান পরিচালনা করে ৭০ ঘনফুট অবৈধ গর্জন কাঠ জব্দ করা হয়েছে। তবে বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে বনদস্যুরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। জব্দকৃত কাঠের বাজার মূল্য ২১ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার অবৈধভাবে কাঠ পাচারকারকালে কচ্ছপিয়ার জুমপাড়ার মৃত হাসান আলীর ছেলে শামশুল আলমকে হাতে নাতে আটক করেছিল বনকর্মীরা। কিন্তু বিট কার্যালয়ে নেওয়ার আগেই তাঁর সিন্ডিকেটের ৬ সদস্য বিট কর্মকর্তার কাছ থেকে ওই বনদস্যুকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। জানতে চাইলে বিট কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি উপর মহলকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
একাধিক ব্যক্তি অভিযোগে জানান, স্থানীয় বনদস্যু হাসান আলীর ছেলে শামশুল আলম, মো.কালুর ছেলে শামশু, মো.আলীর ছেলে মো.শফি, কাঠ ব্যবসায়ী ছিদ্দিক আহমদের ছেলে নুরুল আলম, আবদুল কাদেরের ছেলে মো.রাসেল ও আবু তাহেরের ছেলে মিজানুর রহমান সহ বনখেকোদের কারণে এতদঅঞ্চলের সামাজিক বনায়ন ও সরকারি সৃজিত বনাঞ্চল লুটপাট হচ্ছে। তারা বনকর্মীদেরকেও হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের সরকারি বনাঞ্চল রক্ষায় চিহ্নিত বনদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।


শেয়ার করুন