জড়িতদের গ্রেফতার দাবী ইউনিয়ন যুবলীগ-ছাত্রলীগের

গর্জনিয়ায় যুবলীগ কর্মী হত্যাকান্ড নিয়ে ধুম্রজাল

download (3)নিজস্ব প্রতিবেদক :

গর্জনিয়ায় ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত যুবলীগ কর্মী মনজুর আলম হত্যাকান্ডকে ঘিরে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এ হত্যাকান্ড নিয়ে পরাজিত এক চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
তবে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতৃবৃন্দের দাবী, নিহত মনজুর আলম ইউনিয়ন যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাই ইউনিয়ন যুবলীগ নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রাথী সৈয়দ নজরুল ইসলামের পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত মতে মনজুর আলম নির্বাচনের আগে ২৭ মে বিাগত রাতে চেয়ারম্যান প্রাথী সৈয়দ নজরুল ইসলামের প্রতীক আনারসের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর লোকজনের হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে মারা যান।
জানাযায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গত ২৭ মে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পছন্দের প্রাথীর পক্ষে ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে বোমাংখিল নামক এলাকায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রাথী সৈয়দ নজরুল ইসলামের সাথে প্রচারণা চালাতে যান স্কুল মুরা এলাকার মৃত মো: হোসেনের ছেলে যুবলীগ কর্মী মনজুর আলম। কিন্তু প্রচারণার এক পর্যায়ে অন্ধকার গনিয়ে আসার সাথে সাথে রাত ৭ টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর লোকজন সশ্বস্ত্র ভাবে হামলা চালায় সৈয়দ নজরুল ইসলামের উপর। এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম যুবলীগ কর্মী মনজুর আলমসহ অন্তত ৩০ জন সমর্থক আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবলীগ কর্মী মনজুর আলম মারা যান।

ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাফেজ আহম্মদ জানান, আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতির আত্মীয় ও জাসদের সাবেক এক নেতাকে নৌকা প্রতীক দেওয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অংঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রাথী সৈয়দ নজরুল ইসলামের পক্ষে কাজ করার মিদ্ধান্ত নেন। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে মনজুর আলমও নজরুলের পক্ষে প্রচারণা চালায়। কিন্তু নির্বাচনের আগের রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর সমর্থীত লোকজনের সশ্বস্ত্র হামলার শিকার হয়ে মারা যান মনজুর আলম। তাই এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান এ যুবলীগ নেতা।
ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, নিহত মনজুর আলম যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। দলের সিদ্ধান্ত মতে সৈয়দ নজরুল ইসলামের পক্ষে প্রচারণা চালাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়েছেন তিনি। তাই এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের আগের দিন রাতে আমার সাথে বোমাংখিল এলাকায় প্রচারণা চালাতে গিয়ে তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর সমর্থীত লোকজনের সশ্বস্ত্র হামলায় আমরা সবাই আহত হয়েছি। পরে চিকিৎসা নিয়ে সবাই বেচে গেলেও যুবলীগ কর্মী মনজুর আলমকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে না পারায় তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
রামু থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। সুতরাং তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শেয়ার করুন