গর্জনিয়ার চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের আসামী আটক

pic--05-02-15হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি :
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ও রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকায় গেল সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সংঘটিত সবচেয়ে স্পর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর দুই হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক আসামী আহমদুর রহমান (২৬) কে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে রামুর থিমছড়ি এলাকার গহীন পাহাড়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর সদস্যরা তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটক অভিযানে সঙ্গীয় ফোর্স সাথে নিয়ে নেতৃত্বদেন ফাঁড়ীর ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.মোস্তফা কামাল।
আটককৃত আহমদুর রহমান গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ি গ্রামের কবির আহমদের ছেলে। গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে বলেন, আটককৃত যুবক বড়বিল, বাইশারী ও ঈদগড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপহরণ, খুন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় হত্যা মামলার (জিআর-২৮৫/১২) ওয়ারেন্ট রয়েছে। সেই সাথে গর্জনিয়ায় গত বছরে সংঘটিত জোড়া হত্যাকান্ড মামলায়ও সে সন্দেহবাজন আসামী। বুধবার দুপুরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, আটককৃত যুবক শীর্ষ ডাকাত ও সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য। ঈদগড়, বাইশারী ও বড়বিল এলকায় যেসব সন্ত্রাসীরা অপরাধ কর্মকান্ড সংঘটিত করছে, তাদের সাথে আহমদুর রহমানের ধারুণ সখ্যতা রয়েছে। তাকে রিমান্ডে নেওয়া হলে সেই সব তথ্য অবশ্যই বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর (রবিবার) নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুখ আহমদের বাগানে গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে কেয়ারটেকার মো.আলীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মুক্তিপণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে অপহৃত কেয়ারটেকারকে অজ্ঞাত স্থানে সন্ত্রীরা খুন করে। ২৪ অক্টোবর (বুধবার) সকালে ইউনিয়নের হরিনঝিরি এলাকা থেকে আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অন্যদিকে গেল ২০১৪ সালের ১১ আগষ্ট রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামের নারাইম্মা ঝিরি নামক গহীন এলাকায় হাত-পা ও গলা কেটে বড়বিল ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল মাবুদের ছেলে মো.ইলিয়াছ (২৭) ও আব্দুল মোনাফের ছেলে আব্দুর রহিম (২৬) কে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। উক্ত স্পর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর দুই ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে পুলিশের হাতে বুধবার দিবাগত রাতে আটক হওয়া আহমদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।


শেয়ার করুন