খুলে যাক সংকট সমাধানের দ্বার

2_71571

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ 

দেশের জনগণের দিনকাল যে ভালো যাচ্ছে না তা যে কেউ অস্বীকার করবেন না। ভয়াবহ সংকট এবং অনিশ্চয়তা ১৬ কোটি মানুষকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। একদিকে সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের দাবিতে চলমান রয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের টানা অবরোধ এবং হরতাল, অন্যদিকে বিরোধীদের ঐক্য, রাজনৈতিক সক্ষমতা, গণতান্ত্রিক অধিকার ব্যাহত করতে ধারাবাহিক কার্যক্রম চলমান রেখেছে সরকার। এ পর্যন্ত রাজনৈতিক সহিংসতার বলি হয়েছে অনেক সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক কর্মী। অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে পেট্রলবোমায়, আবার কারও মৃত্যু হয়েছে ক্রসফায়ার নামের প্রশ্নবিদ্ধ বন্দুকযুদ্ধে। অনেককেই কারাবন্দী হয়ে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। সর্বশেষ বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদকে পাওয়া যাচ্ছে না কয়েক দিন ধরে। আইনশৃক্সখলা বাহিনী বলছে, সালাহউদ্দিন কোথায় আছেন, কীভাবে আছেন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে সালাহউদ্দিনের পরিবার থেকে বলা হচ্ছে, তাকে ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী লোকজন উত্তরার একটি বাসা থেকে ধরে নিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে আদালত থেকে বলা হয়েছে, তাকে যেন স্বশরীরে আদালতে হাজির করা হয়। সালাহউদ্দিন আহমেদের কোনো খোঁজ না মেলায় তার পরিবারের সদস্যরাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই ভীষণরকম উৎকণ্ঠিত।
সব মিলিয়ে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এখন সবাই উদ্বিগ্ন। উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে খোদ জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তথাপি বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার দেশি-বিদেশি উদ্যোগের পরও সরকার ও আন্দোলনরত দলের একগুঁয়েমির কারণে সংকটের জাঁতাকলে পড়ে নিষ্পেষিত হচ্ছে কোটি কোটি মানুষ। কিন্তু এ নিষ্পেষণ উদ্বিগ্নতা অবসানের কোনো উদ্যোগই এখন পর্যন্ত লক্ষণীয় নয়। আন্দোলনরত ২০-দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। এ প্রত্যাশা মার খাচ্ছে সরকারের অনুদার মনোভাবের জন্য। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। মন্ত্রী-এমপিরাও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এ ধরনের কথাবার্তাই বলছেন। ১৩ মার্চ শুক্রবার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে সংলাপের কথা পুনর্ব্যক্ত করলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগই চোখে পড়ছে না। ওইদিন তিনি সরকারের কাছে তিন দফা প্রস্তাব পেশ করেন। বলেন, গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি এবং গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- বন্ধ করতে হবে। পুলিশ ও যৌথবাহিনীর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে সভা-সমাবেশ মিছিলসহ রাজনৈতিক কর্মকা-ের ওপর আরোপিত বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করতে হবে। গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখের জন্য সংলাপের আয়োজন করতে হবে। ওই সংবাদ সম্মেলনের পর শাসক দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না। অথচ বেগম খালেদা জিয়া আরও বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক এ আন্দোলন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে বা কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়। এ আন্দোলন আদর্শিক এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এ থেকে বোঝা যায়, তিনি ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা বা প্রতিশোধ গ্রহণের উন্মত্ততায় মেতে উঠতে চান না। কেননা এতে করে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলেই তার মতামতে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে আনীত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি থেকে বেশ কিছুটা নমনীয় হয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকারটি নির্দলীয় ও নির্বাচিত চরিত্রের হতে পারে বলে মত দিয়েছেন। এমনকি চলতি অধিবেশনে সংবিধানে সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানিয়ে কার্যত দশম সংসদকে মেনে নিয়েছেন। অনেকেই আশা করেছিলেন, ২০-দলীয় জোটের সংবাদ সম্মেলনের পর হয়তো সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। যে উদ্যোগের মধ্য দিয়ে দেশে একটি সুন্দর সহাবস্থান তৈরি হবে। কিন্তু সে আশা খানিকটা বিফলেই পর্যবসিত হতে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
বর্তমান সংকটের মূলে রয়েছে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের অভাব। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কোনোভাবেই সামগ্রিক জনগণের ম্যান্ডেট বলে অভিহিত করা যাবে না। সে সময়ে ৯ কোটি ২৯ লাখ ভোটারের মধ্যে অধিকাংশ ভোটার নির্বাচনে ভোট দেয়নি। বিবেকের বিচারে এটাকে কোনোভাবেই জনগণের ম্যান্ডেটের প্রতিফলন বলা যাবে না। অন্যরা যদি এটা করত তাহলে ক্ষমতাসীনদের ভাষা কেমন হতো? তারা কি এ ধরনের নির্বাচন ও সরকার পদ্ধতি সানন্দে মেনে নিত! আমি নিজে যা মানি না তা অন্যকে মানতে বাধ্য করা উচিত কিনা সে প্রশ্ন স্বভাবতই আসতে পারে। সমস্যার গভীরে না গিয়ে অযথা বল প্রয়োগের মাধ্যমে সমাধান খোঁজা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির সংজ্ঞায় পড়ে না। রাজনীতির পরিভাষা হলো- রাজনৈতিক সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা। জনগণের সন্তুষ্টি বিধানে সচেষ্ট হওয়া, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মতামতকে যৌক্তিক গুরুত্ব দেওয়া। রাজনীতির এ দুর্যোগময় অন্ধকারে দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। নির্বাচনে মোট ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি-সেক্রেটারিসহ মোট ৯টি পদে জাতীয়তাবাদী প্যানেল তথা নীলদল এবং সহ-সভাপতির একটি পদসহ মোট ৫টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল সাদা দল বিজয়ী হয়েছে। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার অপূর্ব নিদর্শন আমরা দেখেছি। ছোট্ট পরিসরে আয়োজিত প্রতিষ্ঠানভিত্তিক এ সাংবিধানিক সংস্থার নির্বাচন যদি অবাধ, স্বাধীন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সবার অংশগ্রহণে হতে পারে তাহলে সরকার কর্তৃক জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সম্ভব নয় কেন? বলাবাহুল্য, এ নির্বাচন থেকে এ দুর্ভাগা জাতির অনেক শিক্ষণীয় বিষয় আছে। কেননা জাতির বিবেকবান মানুষগুলো ওখানে একত্রিত হয়ে একটা সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাই প্রশ্ন জাগে, সুপ্রিমকোর্ট বা ঢাকা বার যদি অবাধ-নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়? একই রক্ত-মাংসের মানুষ তারাও। আইনবিদরা যেমন লেখাপড়া জেনে আইনের প্র্যাকটিস করছেন, তেমনি রাষ্ট্র, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধিকর্তা হিসেবে যারা সমাসীন আছেন তারাও যোগ্যতাসম্পন্ন। তাদেরও মেধা-যোগ্যতা-বিবেকবোধ নিশ্চয়ই কম নয়। বিবেকবান মানুষ হিসেবে সত্য-মিথ্যা-ভালো-মন্দের বিচারে তাদেরও বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ের রক্তক্ষরণের বিষয়টি উপলব্ধি করা উচিত।
আসলে আমরা যেভাবে মূল্যায়ন করি না কেন, রাজনীতিতে সংলাপ, আলোচনা, আপসরফা একটি অনিবার্য বিষয়। এটি পৃথিবীর সব দেশেই চলমান। যখনই বিশ্বের কোনো দেশে তীব্র রাজনৈতিক সংকট এবং মতবিরোধ তৈরি হয়েছে তখনই সেই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আলোচনা বা সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে। সরকারি এবং বিরোধী শিবিরের নেতারা একসঙ্গে বসেছেন, সংকট উত্তরণে পরবর্তী করণীয় ঠিক করেছেন। আর এ উদ্যোগের মধ্য দিয়েই সব বিরোধীয় বিষয়ের মীমাংসা হয়েছে। আমাদের দেশেও আমরা এর আগে দেখেছি সংকটময় রাজনৈতিক মুহূর্তে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানের পথ বের করেছেন। ১৯৯০ ও ১৯৯৬ সালে যা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।
রাজনৈতিক অস্থিরতায় গত তিন মাসে দেশের সব কিছু স্থবির হয়ে পড়েছে। যার তীব্র প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতেও। কোথাও বিনিয়োগ বৃদ্ধি দূরে থাক, অস্থিরতার কারণে ব্যবসায়ীদের পক্ষে ব্যবসা-বাণিজ্য চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষসহ ছোট, মাঝারি কৃষক থেকে শুরু করে সব ধরনের উৎপাদকেরা এখন চরম ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি। কৃষকরা ঠিকমতো ফসল উৎপাদন এবং বিপণন করতে পারছে না। অনেকের ব্যাংক দায়-দেনা বেড়ে চলছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে না পেরে প্রতিবাদে পথে নেমেছে। পোলট্রি খামারিরা প্রতিবাদ করতে রাস্তায় উৎপাদিত ডিম ভেঙে ফেলেছে। দুগ্ধ উৎপাদনকারীরা রাস্তায় দুধ ঢেলে দিয়ে প্রতিবাদ করেছে। অনেকের তাই মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে ক্রমাগত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। স্কুলগুলো সঠিকভাবে না চলার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম মারাৎদকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অনেক দিন ধরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অচল, স্থবির হয়ে পড়ায় ক্লাস, লেখাপড়া, পরীক্ষা কোনো কিছুই ঠিকমতো হচ্ছে না। এসএসসি পরীক্ষা যে প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এর আগে কখনোই এত লম্বা সময় ধরে হয়েছে বলে জানা নেই। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলার চেষ্টা করা হচ্ছে সব কিছু সচল রয়েছে কিন্তু বাস্তবচিত্র অন্যরকম।
এ মুহূর্তে সারা দেশের মানুষ একটা সুষ্ঠু যৌক্তিক সমাধানের দিকে তাকিয়ে আছে। তবে দৃশত দুই পক্ষই তাদের সিদ্ধান্তে অনড় হয়ে একে অপরকে দোষারোপ করছে। বোঝা যাচ্ছে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। তবে এটা ঠিক সমাধানের চাবিকাঠি কিন্তু সরকারের হাতেই। সরকারকেই তাই সবার আগে আলোচনার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। উদ্ভূত সংকট থেকে পরিত্রাণের ক্ষেত্রে মূলত সরকারকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে; অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। কিন্তু সরকার সেই ভূমিকায় না গিয়ে প্রতিনিয়ত বিরোধী পক্ষের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকা- পালনের ক্ষেত্রে বাধা প্রদানসহ ধরপাকড় করছে। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে সরকার শক্তি প্রদর্শন করেই ২০-দলীয় জোটকে আন্দোলনের মাঠ থেকে পিছু হটাতে অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশে যখন রাজনৈতিক সংকট চলছে তখন তার সমাধানের দিকে না গিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সিটি নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বোঝা যাচ্ছে বিরোধী পক্ষের প্রতি মনস্তাত্ত্বিক চাপ বাড়াতে ও জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে সরকারের পক্ষ থেকে একেক সময় একেক ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ মুহূর্তে সরকারের পক্ষ থেকে যা বলা হচ্ছে এবং যা করা হচ্ছে তাতে করে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের কোনো সুষ্ঠু লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না। বরং জেদাজেদির দৃশ্য প্রকট হয়ে উঠছে। রাজনীতির মূল কথা জনগণের কল্যাণ। যারা রাজনীতি করেন এবং রাজনৈতিক দল গঠন করেন তাদের আদর্শ ও লক্ষ্য ভিন্ন ভিন্ন হলেও তা জনগণের কল্যাণের জন্যই তারা তা করেন। কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ সংকট আরও দীর্ঘায়িত হলে তাদের যে চরম খেসারত দিতে হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। সে অবস্থা থেকে পরিত্রাণের এখন সবচেয়ে সুন্দর উপায় হলো- চলমান সংকট সমাধানে সংলাপের আয়োজন করা। আলোচনার পরিবেশ তৈরি হলে বা উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে অনেক সমস্যা সমাধান করাই সম্ভব। এ জন্য অবশ্যই দুই পক্ষকেই একে অপরকে দোষারোপ না করে উদার মানসিকতা প্রদর্শন করে এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে ধারাবাহিক রাজনৈতিক অস্থিরতা কারও জন্যই মঙ্গল ডেকে আনবে না। গণতন্ত্র বিকাশের জন্যও সেটা অমঙ্গলজনক। কায়মনোবাক্যে তাই আহ্বান করছি- উন্মোচিত হোক সংকট সমাধানের নতুন দ্বার। তৈরি হোক সহনশীল সুন্দর এক রাজনৈতিক পরিবেশ। মানুষের স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা তৈরি হোক। মানুষ ফিরে পাক তার গণতান্ত্রিক অধিকার। বাংলাদেশ প্রতিদিন
লেখক : চেয়ারম্যান, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।


শেয়ার করুন