খুটাখালীতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের গাইড নিতে বাধ্য করার অভিযোগ

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও:
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত নোট ও গাইড বই সহায়ক বলে অর্থলোভী কোচিংয়ের শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের কিনতে প্রতিদিন চাপ প্রয়োগ করছেন। এতে করে শিক্ষক-বই ব্যবসায়ীদের রমরমা ব্যবসা হলেও মেধাশূন্য ও সৃজনশীল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, স্কুল মাদ্রাসার ২য়, ৩য় শ্রেনী থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেনীর নোট ও গাইড বই অবাধে বিক্রি হচ্ছে। নিষিদ্ধ এসব গাইড বই বিক্রেতা লাইব্রেরীর মালিকরা সারাক্ষণ স্কুল মাদ্রাসায় ভীড় করছেন। তারা প্রতিষ্ঠান প্রধান-সুপার ও শ্রেণী শিক্ষকদের সাথে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে চুক্তি করে তাদের পছন্দের বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের জনৈক বই বিক্রেতা জানান শিক্ষকদের ম্যানেজ করে ব্যবসা করা হচ্ছে।
একাধিক অভিভাবকের অভিযোগ স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষকরা যে বই কিনতে বলবেন যাই হোকনা কেন কিছুই না বুঝে ছেলে মেয়েরা গাইড কিনবে। সম্প্রতি স্কুল মাদ্রাসা চলাকালীন সময় গাইড বই বিক্রেতা ও লাইব্রেরীর মালিকদের দৌঁড়ঝাপ লক্ষ করা গেছে। তবে খুটাখালীতে প্রশাসনের কোন বাধা এখনো পর্যন্ত আসেনি। যার কারণে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দেদারচে।
ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ সৃজনশীল পদ্ধতির নামে শিক্ষকরা নির্দিষ্ট গাইড কিনতে বাধ্য করছেন। অন্যদিকে কেজি শাখার বই গুলো বাজারের একটি নির্দিষ্ট লাইব্রেরীকে বিক্রির সুযোগ দিয়ে মোটা অংক আদায় করা হচ্ছে।


শেয়ার করুন