টেস্ট ক্রিকেটের ১৪০ বছরের সুদীর্ঘ ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র দল হিসেবে ৫৯৫ রানের হিমালয় সমান স্কোর গড়ে হারা প্রথম দলও হলো বাংলাদেশ। এ দীর্ঘ ইতিহাসে এর আগে কোন দলের ৫৯৫ রানের হিমালয় সমান স্কোর নিয়েও হারের রেকর্ড ছিল না।
স্কোর: বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ৫৯৫/৮ (ডিক্লেয়ার) দ্বিতীয় ইনিংস ১৬০/৯ নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৫৩৯ নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস ২১৭/৩
ওয়েলিংটনে সে ব্যর্থতার নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলো মুশফিকের দল। প্রথম দল হিসেবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৬০০ রানের দোরগোড়ায় পৌঁছেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হারের তেঁতো স্বাদ নিলো তামিম, ইমরুল, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ।
এর আগে টেস্টের প্রথম ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ৫৮৬ রান করে ম্যাচ হারের রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার। সেটা বহু দিন আগের কথা। সেই ১৮৯৪ সালে সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৫৮৬ রানের পাহাড় সমান স্কোর গড়েও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হারে অজিরা।
টেস্টে ক্রিকেটে প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৫৬ রান করে হারের রেকর্ডটাও অস্ট্রেলিয়ার। ২০০৩ সালে ঘরের মাঠে এডিলেডে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ঐ রান করেও ম্যাচ জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। হারের তেঁতো স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়ে।
টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে তৃতীয় সর্বাধীক ৫৫১ রান তুলে হারের রেকর্ডটা ইংল্যান্ডের। সেটা ২০০৬ সালের ঘটনা। অ্যাডিলেডে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে ৫৫১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণার পর উল্টো হেরে যায় ইংলিশরা। এছাড়া টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর গড়ে ম্যাচ হারার রেকর্ড আছে আরো কয়েকটি।
এর মধ্যে ১৯৬৮ সালের মার্চে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ হেরেছিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। পোর্ট অফ স্পেনে হওয়া সে ম্যাচে ক্যারিবীয়রা আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৫২৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষনা করেও শেষ অবদি ম্যাচ হেরে যায়। এছাড়া প্রথম ইনিংসে ৫২০ এবং ৫১৯ রান করেও টেস্ট হারের রেকর্ড আছে একজোড়া।
প্রথম ইনিংসে ৫২০ রান তুলেও শেষ পর্যন্ত টেস্ট হারের রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার। ১৯৫৩ সালে মেলবোর্নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৫২০ রানের বড় স্কোর গড়েও কুলিয়ে উঠতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া ৫১৯ রান করে টেস্ট হারের রেকর্ডটি ইংল্যান্ডের। আজ থেকে অনেক আগে সেই ১৯২৯ সালের মার্চে মেলবোর্নে অজিদের সাথে ঐ বড় স্কোর গড়ার পরও শেষ পর্যন্ত হার মানে ইংলিশরা।