কোরবানির গোশত কিভাবে বণ্টন করবেন?

Qurbani-400x266ত্যাগ ও উৎসর্গের দীক্ষা নিয়ে ঈদুল আযহা আজ আমাদের দুয়ারে কড়া নাড়ছে। ঈদুল আযহার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এ ঈদের বাহ্যিক প্রস্তুতিও অনেক ব্যাপ্ত ও সমৃদ্ধ। কোরবানির গোশত বণ্টন এ ঈদ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। এবিষয়ে আমাদের আজকের আলোচনা।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সুতরাং, (হে মুসলিমগণ) সে পশুগুলো থেকে তোমরাও খাও এবং দুস্থ অভাবগ্রস্থকে খাওয়াও। সুরা হাজ, আয়াত : ২৮।’
অনুরূপ বাণী এসেছে সুরা হজের ৩৬ নং আয়াতেও। আয়াতগুলো থেকে বোঝা যায়, মহান আল্লাহ তায়ালা কোরবানির গোশত থেকে দুস্থদের দানের আদেশ করেছেন। তবে ঠিক কতটুকু দান করতে হবে এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা কোনো পরিমাণ নির্দিষ্ট করেননি।
মহানবী সা. এর হাদিসের মাঝেও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন, তবে তিনিও কোন সুনির্দিষ্ট পরিমাণ বলেননি।
তবে সাহাবিদের মাঝে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. গোশতকে তিনভাগে ভাগ করতেন এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. এর এক বর্ণনানুযায়ী মহানবী সা.ও গোশত তিনভাগে ভাগ করেছেন। আর এভাবেই ইসলামী আইন বিশারদগণ বলেছেন, কোরবানির গোশতকে তিনভাগে ভাগ করা মুস্তাহাব। একভাগ দরিদ্রদের, একভাগ পাড়াপড়শি বা আত্মীয়দের, একভাগ নিজের। (ফতোয়া আলমগিরী। ভলিউম, ৫. পৃ.৩০০)
এমনিভাবে ইমাম আহমদ, ইমাম শাফেয়ীসহ বহু বিদ্বান গোশতকে তিনভাগ করার কথা বলেছেন। (সুবুলুস সালাম। ৪:১৮৮)
তবে উপর্যুক্ত তিনভাগের মাঝে কমবেশি করলেও কোরবানি সহিহ হবে। তবে পাড়াপড়শি এবং দরিদ্রদের কথা অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। ডিপফ্রিজ সংস্কৃতির এই যুগে অন্তত কোরবানির ক্ষেত্রে যেন আমরা আত্মকেন্দ্রিক পুঁজিবাদি মানসিকতার শিকার না হই। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের কোরবানি কবুল করবেন এই প্রত্যাশাই রইলো।


শেয়ার করুন