কেন মেয়েরা খারাপ ছেলের প্রেমে পড়ে?

11998306_10204853552399926_540632153_n copyসিটিএন ডেস্ক :

“খারাপ ছেলে কারে কয়” অনেককাল আগেই বিদ্যাসাগর বলে গেছেন। সেই যে গোপাল বড় সুবোধ বালক, রাখাল নয়। রাখালকে খারাপ বালক দেখাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, এমন কেউ যার লেখাপড়ায় মন নেই, কারোর কথা শোনে না, গুরুজনদের তোয়াক্কা করে না। চলে মর্জিমতো। যা খুশি তাই করে।

মোদ্দা কথা হল, সে কোনওভাবেই সুবোধ বালক নয়। সে অবাধ্য, লাগামছাড়া, বেয়াড়াটাইপ। সেই থেকেই সবার বদ্ধমূল ধারণা, সৃষ্টিছাড়া ছোকরা আসলে অদৃশ্য ল্যাজযুক্ত বাঁদর। তাদের কেউ মোটেই পছন্দ করে না, কেবল একটি শ্রেণিকে বাদ দিয়ে।

নারী। যত বেশি বেয়াড়া, উচ্ছৃঙ্খল, ততবেশি নারীমনে “হিরো”। তাই তো লক্কা পায়রা সেজেও, টেরি কেটেও নারীকুলের সুইটহার্ট হয়ে ঘুরে বেড়ায় ব্যাড বয়ের দল। কিন্তু কেন? মেয়েরা তাদের মধ্যে এমন কী আবিষ্কার করল, যে সুবোধ বালকরা সব ডাহা ফেল। জেনে নিন –

১. রোমাঞ্চ

ভেবেচিন্তে কাজ করে না ব্যাড বয়রা। ভয়ানক মুহূর্তবাদী। রাত বারোটায় লং ড্রাইভ। কুছ পরোয়া নেহি। লেডি লাভকে পাশে বসিয়ে গাড়ি স্টার্ট। চলো হোটেলে। পেট ভরে মধ্যরাতের ডিনার সেরে দূরদূরান্তে গাড়ি চালাও। ভালো ছেলেরা পারবে তা? অধিকাংশই বাড়ির চাপে পিছিয়ে পড়বে। পাড়াপড়শির ভয়ে ডরাবে। তাই ব্যাড বয়ই সই। তাদের মতে, কালকের চিন্তা কালই হবে। আজকের চিন্তা আজ। লাভ কী অত ভেবে! এই ফান্ডা, ব্যাড বয়দের অনেক নম্বরে এগিয়ে রাখে নারী মনে। তাদের সঙ্গে প্রেম মানেই অ্যাডভেঞ্চার ভরপুর।

২. সমাজকে নো তোয়াক্কা

তা হলে ভেবে বসবেন না, খারাপ ছেলেরা আসলে খারাপ মানুষ। তারা খারাপ, কারণ সমাজকে তারা মানে না। তবে সমাজবিরোধী কাজও তারা করে না। আসল কথা হল, তারা ক্রিমিনাল নয়। চুরি, ছিনতাই, ধর্ষণকারী নয়। সেসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে বরং ঝাঁপিয়ে পড়ার দম রাখে। কিন্তু সামজের চিরাচরিত নিয়ম মানে না। চারপাশটা পালটে দিতেই মন চায় তাদের। প্রেমিক-প্রেমিকাকে পালাতে সাহায্য করে। বন্ধুর বিয়ে দেয় লুকিয়ে লুকিয়ে। পারলে নিজের বিয়েটাও লুকিয়েই সেরে ফেলে। এই যে ছেলের হিস্ট্রি, তাকে মেয়েরাও হৃদয় সঁপে দেয়।

৩. রহস্যটাই আসল

যে ছেলের মধ্যে রোমাঞ্চ আছে, তার মধ্যে রহস্যও আছে ষোলোআনা। ফলে সে কী চায়, কী তার প্ল্যান, কেউ তা জানে না। বেশ একটা লুকোচুরি খেলা খেলে সবার সঙ্গে। বিশেষ করে প্রেয়সীর সঙ্গে। প্রেয়সীর হাজার চিৎকার সত্যেও তার মনেই চিরস্থায়ী বাসা বেঁধে থাকতে শুরু করে ব্যাড বয়রা। কিছুতেই মন থেকে সরাতে পারে না। কেননা, হুটহাট সারপ্রাইজ়, হঠাৎ বেরিয়ে পড়ার বোহেমিয়ান পুরুষটিকেই যে বেশি পছন্দ তার।

৪. নারীমহলে আনাগোনা ষোলোআনা

দেখে মনে হবে হেব্বি ফ্লার্টবাজ। ফলে হিংসে জাগে মনে মনে। অন্য নারী যত পিছু নেয়, ততই বাড়ে জ্বালা। আর যত বেশি জ্বালা, তত বেশি আকর্ষণ সেই পুরুষের!

৫. বিছানায় দারুণ হট !

রহস্যময়, রোমাঞ্চকর, বোহেমিয়ান, তার উপর নারী মনে জ্বালা- এ সবের রেজ়াল্ট কী জানেন? ওয়াইল্ডেস্ট যৌনতা। একেবারে মারকাটারি। এ কথা বারংবার প্রমাণিত যে ব্যাড বয়রা আসলে টু গুড ইন বেড ! তবে কেউ কেউ অবশ্য এই থিওরিকে পাত্তা দেন না। যারা বিশ্বাস করেন, তাদের কাছে…বেয়াড়া চালাও ফোয়ারা… !


শেয়ার করুন