কেন গায়ে আগুন দিলেন ঢাবি ছাত্রী?

128764_1একরাশ স্বপ্ন নিয়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন আনজুমান আরা। স্বপ্নের পথে ভালই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এই মেধাবী ছাত্রী।

কিন্তু হঠাৎই খবর আসে টিএসসির দ্বিতীয় তলার টয়লেটে আগুনে জ্বলছেন তিনি। ছুটে যান তার বন্ধুরা, দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে যান ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে।

বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে টিএসসির দ্বিতীয় তলার একটি টয়লেট থেকে ওই ছাত্রীর চিৎকার ও ধোঁয়া দেখে অন্য শিক্ষার্থীরা দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন।

উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়া এক ছাত্র মাহবুব বলেন, হঠাৎ করেই বাথরুম থেকে আর্তচিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে যাই। দেখি সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এরপর টয়লেটের দরজা ভেঙে ফেললে জ্বলন্ত অবস্থায় আমরা তাকে পাই। আগুন নিভিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি।

কবি সুফিয়া কামাল হলের ওই ছাত্রীর শরীরের ২৮ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ারুল ইসলাম।

ঘটনার পরপরই দগ্ধ শিক্ষার্থীকে দেখতে ঢাকা মেডিকেলে ছুটে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরোফিন সিদ্দিক। সুষ্ঠু চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের ব্যবস্থা নিতে বলেন।

এদিকে আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল। এ নিয়ে মেয়েটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল।

শুধু কি এই সামান্য বিষয় নিয়ে এতোবড় মানসিক বিপর্যয়! নাকি অন্য কিছু? তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণেই কি ঝরে যাবে আগামীর স্বপ্নের কারিগর এই আনজুমান আরারা?

অকস্মাৎ ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনাই এমন অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়ে উদ্বেলিত করে তোলে এদেশের অতি সাধারণ নাগরিকদেরও।


শেয়ার করুন