কষ্টার্জিত অর্থ অপব্যবহার করা যাবে না

fileপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যে সংবিধান দিয়ে গেছেন। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বাজেট বৃদ্ধি করেছি। এতো বিশাল আকারে বাজেট বাংলাদেশে আর কেউ দেয়নি। আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ কোনোভাবেই যেন অপব্যবহার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। আর সেটা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবো। কত সালের মধ্যে কী-কী করবো। তা ঠিক করি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, নিরাপত্তা, গ্যাস ও অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে আমরা গুরুত্ব দিই।

‘২০০৮ সালের নির্বাচনে আমাদের রূপকল্প ঘোষণা করি। সেখানে কিছু স্বল্পমেয়াদী, কিছু মধ্যমেয়াদী ও কিছু দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প ছিলো। জনগণে চাহিদা কী, সেটা কীভাবে পূরণ করবো? সে বিষয়ে আমরা কাজ করি’- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা পাঁচ বছরে জন্য নির্বাচিত হই। পাঁচবছরে আমরা জনগণকে কতটা সেবা দিতে পারবো। আর সেটা অর্জন করাই আমাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়া কোনো দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন করা সম্ভব হয় না। আমাদের সৌভাগ্য আমরা টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে পেরেছিলাম। ফলে গত পাঁচ বছরে যে কাজগুলো শুরু করেছিলাম। তা সম্পন্ন করতে পাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারও কাছে ক্ষমতা হচ্ছে ভোগের বস্তু, আর কারও কাছে ক্ষমতা হচ্ছে কর্তব্য পালন করা। আমাদের হচ্ছে কর্তব্য পালন করা, জাতির প্রতি কর্তব্য পালন করা, দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্য পালন করা।

তিনি বলেন, `এক সময় প্রচলিত ছিলো- সরকারি মাল, দরিয়ায় ঢাল। এ চিন্তা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। উন্নয়নের সঙ্গে মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমরা যা করছি, সেটার অংশীদার সবাই। মানুষকে আগামী দিনের স্বপ্ন দেখতে হবে। সব সময় স্বপ্ন জাগ্রত রাখতে হবে, হাহাকার নয়।‘

দেশের মানুষকে নিজ-নিজ কাজে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই সভাপতি বলেন, আমরা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ণ করে বাস্তবায়ন শুরু করেছি। যদি আপনারা অতিরিক্ত শ্রমটা দিতে পারেন। তবে আমাদের লক্ষ্যে আমরা পৌঁছাতে পারবো।

পাঁচ বছরের জন্য আমরা নির্বাচিত হই। আমাদের আকাঙক্ষা আনেক বেশি। কিন্তু সময় খুব কম। দেশের মানুষের জন্য আমরা কতটুকু কাজ করতে পারলাম, কতটুকু মানুষকে দিতে পারলাম সেটাই মূল বিষয় বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

মন্ত্রণালয়, দফতার ও সংস্থাদের প্রধান ও মাঠ পর্যায়ে মানুষের সঙ্গে বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তি হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে কতটুকু কাজ হলো, কী পরিমাণ অগ্রগতি হলো, সে বিষয়ে জানা যায় বলেও উল্লেখ করেন


শেয়ার করুন