কর্মস্থলে ফিরেছে মানুষ

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শাহেদ ইমরান মিজান, সিটিএন:
পবিত্র ঈদুল ফিতরের টানা নয় দিনের ছুটি শেষে গতকাল রোববার খুলেছে সরকারি-বেসরকারি সব ধরণের অফিস। সেই সাথে শুরু হয় আদালতের কার্যক্রম। তাই নাড়ির টানে গ্রামে ঈদ করতে যাওয়া কর্মজীবিরা দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে তাদের কর্মস্থলে ফিরেছে। ছুটি শেষে খোলার প্রথম দিনে অন্তত ৯০ শতাংশ কর্মজীবি কাজে যোগ দিয়েছে। সপ্তাহের প্রথম দিন নিয়ে অফিস খোলায় সবাই স্বত:স্ফুর্তভাবে কাজে মনোনিবেশ করেছে। তবে বাকি ১০ শতাংশ কর্মজীবি আজকের মধ্যে পুরোপুরি কাজে যোগ দিবে জানা গেছে।
শহরের আদালত পাড়া ঘুরে দেখা গেছে, সব আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিচাকরাও যোগ দিয়েছেন। সেই সাথে সব স্থরের আইনজীবি ও তাদের সহকারীরা অফিস করছেন। তবে মক্কেলের উপস্থিতি খুব কম দেখা গেছে। আইনজীবিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদেও ছুটির পর প্রথম খোলার দিন হওয়ায় অনেক মক্কেল উপস্থিত হননি। তবে আদালতের কার্যক্রম চলায় অনুপস্থিত মক্কেলদের পক্ষে সময় আবেদন করা হয়েছে।
অনেকে সাথে কথা বলে জানা গেছে, ছুটি শেষে শনিবার থেকে কর্মস্থলের উদ্দ্যেশে বাড়ি ছাড়ে কর্মজীবি মানুষগুলো। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দূর-দূরান্তের কর্মজীবিরা ওই দিনই প্রায় ফিরে যায়। তবে কক্সবাজারের জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা কর্মজীবিরা অধিকাংশ ফিরেছে গতকাল রোববার। ফিরেই তারা সরাসরি কর্মস্থলে যোগ দেন। অনেকে আবার কাজে যোগ দেননি।
ছুটি কাটিয়ে সবাই এক সাথে কর্মস্থলে ফেরায় জেলার সড়ক ও নৌ-পথে অনেক ভিড় লেগে ছিলো। টেকনাফ, উখিয়ার, রামু, কক্সবাজার শহর, চকরিয়া বাস কাউন্টার গুলোতে প্রচ- ভিড় ছিলো। কার আগে কে নিতে কাঙ্খিত টিকেট তার জন্য হুড়োহুড়ি করতে দেখা গেছে। অনেকের আবার অগ্রিম টিকেট থাকায় তারা স্বস্থি পেয়েছেন। তবে বেশি ভিড় দেখা গেছে, চকরিয়া ও কক্সবাজার শহরের বাস কাউন্টারগুলোতে।
কক্সবাজার শহরের ইউনিটক কাউন্টার কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান, শুক্রবার থেকে ফিরতি টিকেট বিক্রি শুরু হয়। তবে শনিবার যাত্রীদের প্রচ- ভিড় লেগে যায়। তাই যাত্রীরা দীর্ঘ সারি বেঁধে টিকেট সংগ্রহ করেছেন।
মহেশখালী-কক্সবাজার নৌ-রুটের মহেশখালীতে জেটিঘাটে দেখা গেছে, বোটের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ সারি। বোট সময় বোট না পেয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তারপরও স্পীড বোট না পেয়ে কাঠের বোটে করে অধিকাংশ যাত্রী ফিরেছেন।
গত কয়েক বছরের মধ্যে এই বারের ঈদেই লম্বা ছুটি ছিলো। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় ১ জুন থেকে সরকার ঈদের ছুটি ঘোষণা করে। একই ভাবে খোলার সময়ও শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিন ছিলো। তার মাঝ খানে ছিলো ৫দিনের ঈদের ছুটি। সব মিলে নয় দিনের ছুটি এক সাথে হয়ে যায়। টানা নয় দিন ছুটি পেয়ে এবারের ঈদের প্রায় সব কর্মজীবি নাড়ির টানে পরিবারের সাথে ঈদ করতে গ্রামে ফিরেছিলেন। রাজধানী ঢাকাসহ দূর-দূরান্তে থাকা সব মানুষ বাড়ি ফিরেছিলেন। ঈদের আগ দিন পর্যন্ত বৃষ্টি থাকলেও ঈদের দিন থেকে থামে বৃষ্টি। বৃষ্টি না থাকায় সব ধরণের মানুষ মনের আনন্দে ঈদ উদযাপন করেছেন। ইচ্ছে মতো ঘুরে বেরিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বাড়ি। এতে বেশি আনন্দিত হয়েছেন পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে বাইরে থাকা মানুষ গুলো। কারণ তারা লম্বা ছুটিতে সব আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি বাড়ি বেড়াতে পেরেছেন তারা।
এদিকে গতকাল রোববার থেকে খুলেছে সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্কুল, কলেজসহ সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলেছে। তবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিলো একেবারে কম।


শেয়ার করুন