কবি ফররুখ আহমদ’র জন্ম বার্ষিকীতে সাহিত্য পরিষদের আলোচনা সভা 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ

কক্সবাজার সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে কবি ফররুখ আহমদ’র ১০৩ জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক হুমায়ুন সিকদার’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সেক্রেটারি ইসলাম মাহমুদ’র সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, তরুণ সাহিত্যিক রায়হান সোবহান, মাহবুবুল হক, আবদুল্লাহ বিন সিদ্দিক, মো; আবদুল্লাহ ও আবদুল গাফফার কুতুবী।
সভায় বক্তারা বলেন, কবি
সৈয়দ ফররুখ আহমদ একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি কবি। তিনি ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তার কবিতায় বাংলার অধঃপতিত মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণের অনুপ্রেরণা প্রকাশ পেয়েছে। বিংশ শতাব্দীর এই কবি ইসলামি ভাবধারার বাহক হলেও
তার কবিতা প্রকরণকৌশল, শব্দচয়ন এবং বাক-প্রতিমার অনন্য বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল।

উল্লেখ্য যে, ফররুখ আহমদের জন্ম ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে (তৎকালীন যশোর জেলার অন্তর্গত) মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার মাঝাইল গ্রামের সৈয়দ বংশে। তিনি খুলনা জিলা স্কুল থেকে ১৯৩৭ সালে ম্যাট্রিক এবং কলকাতার রিপন কলেজ থেকে ১৯৩৯ সালে আইএ পাস করেন। এর পর স্কটিশ চার্চ কলেজে দর্শন এবং ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি বামপন্থি রাজনীতিতে ঝুঁকে পড়েন।

ফররুখ আহমদের কর্মজীবন শুরু হয় কলকাতায়। তবে দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালে ফররুখ আহমদ কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে এসে ঢাকা বেতারে যোগ দেন। তিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার সমর্থন করেছিলেন।

তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হলোÑ সাত সাগরের মাঝি (১৯৪৪), সিরাজাম মুনীরা (১৯৫২), নৌফেল ও হাতেম (১৯৬১), মুহূর্তের কবিতা (১৯৬৩), ধোলাই কাব্য (১৯৬৩), হাতেম তায়ী (১৯৬৬), নতুন লেখা (১৯৬৯), কাফেলা (১৯৮০), সিন্দাবাদ (১৯৮৩), দিলরুবা (১৯৯৪), পাখির বাসা (১৯৬৫), চাঁদের আসর (১৯৭০) প্রভৃতি।

১৯৬০ সালে ফররুখ আহমদ বাংলা একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট পদক প্রাইড অব পারফরম্যান্স এবং ১৯৬৬ সালে পান আদমজী সাহিত্য পুরস্কার ও ইউনেস্কো পুরস্কার। ১৯৭৭ ও ১৯৮০ সালে তাকে যথাক্রমে মরণোত্তর একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়। ফররুখ আহমদ ১৯৭৪ সালের ১৯ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।


শেয়ার করুন