কচ্ছপিয়ায় রোহিঙ্গারাই কাটছে পাহাড়

হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি :  

রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ফাক্রিকাটা এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের চত্রছায়ায় নির্বিঘেœ রোহিঙ্গা ব্যক্তিরাই কাটছে সরকারী পাহাড়। দিনের পর দিন পাহাড় কাটার ফলে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে পরিবেশ। এর ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউনিয়নের ফাক্রিকাটা এলাকার মুরারপাড়া গ্রামের উঁচু খাস পাহাড়ে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করছে মিয়ানমারের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসি মৃত আলী আহমদের ছেলে আবদু শফির রোহিঙ্গা পরিবার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবদু শফি ও তার স্ত্রী কৌশলে এক জনপ্রতিনিধিকে ম্যানেজ করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী গ্রামের ভোটার হয়েছেন ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে। তবে তার মা‘সহ আত্মীয়-স্বজনরা এখনো নাইক্ষ্যংছড়ির স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

কিন্তু বর্তমানে তারা বসবাস করছে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের উঁচু খাস পাহাড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরব থেকে আবদু শফির পাঠানো লাখ টাকা দিয়ে ওই পাহাড়ের বিশাল একটি অংশ কাটা শুরু করেছিল উক্ত পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু খবর পেয়ে স্থানীয় ভূমি অফিসের লোকজন সম্প্রতি ঘটনাস্থলে গেলে পাহাড় কাটা বন্ধ রাখে।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, স্থানীয় কিছু লোকজনকে সাথে নিয়ে আইনকে তোয়াক্কা না করে উক্ত রোহিঙ্গা পরিবার আবারো খাঁস পাহাড় কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ সেখানেই তারা একটি বিলাশ বহুল বাড়ি নির্মাণ করবে। জানতে চাইলে গর্জনিয়া ভূমি অফিসের তহসিলদার চন্দন কুমার দাস এ প্রতিবেদককে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিশাল পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই (উপ-পরিদর্শক) মোস্তফা কামাল বলেন, রোহিঙ্গাদের অন্যায় কর্মকান্ড কোনদিন মেনে নেওয়া সম্ভব হয়। কারণ তাদের কারণে দিন দিন অপরাধ কর্মকান্ড বাড়ছে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


শেয়ার করুন