কক্সবাজার পুলিশ ১২০ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে

dbdbdসিটিএন:
চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে ১২০টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ। এ ছাড়া জেলায় ইয়াবাসহ মাদক উদ্ধার, সাগর পথে মানবপাচার রোধ ও আইন শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ জিরো টলারেন্স দেখিয়ে চলেছে বলেও তিনি দাবী করেন। ২৮ ডিসেম্বর গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব তথ্য জানান।
এ সময় তিনি চলতি ২০১৪ সালের জানুয়ারি হতে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে জেলা পুলিশের সাফল্যের বিবরণ তুলে ধরেন।
অস্ত্র উদ্ধার ঃ ২০১৪ সালে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১২০টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সংক্রান্ত ৮৮টি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১২৬ জনকে। চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২৭টি বন্দুক, ৯১টি এলজি,  ১টি দেশীয় রিভলবার, ককটেল ৬টি , ৩০টি অন্যান্য অস্ত্র । এছাড়া ৭টি খোসা, ১২টি গুলি, ১৭৩টি কার্তুজও উদ্ধার করা হয়।
ইয়াবা উদ্ধার ঃ পুলিশ এ সময়ে ৭ লাখ ৭২ হাজার ৪১৮ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয় ৬৯ কেজি গাজাঁ, ফেন্সিডিল ৩৪১ বোতল,১০ হাজার ১৯১ লিটার দেশী মদ, ২১৪১ ক্যান বিয়ার ও ২০ গ্রাম হেরোইন। এ সব মাদকের মূল্য ধরা হয় প্রায় ২৩ কোটি টাকা। এ সংক্রান্ত ৮৫৪ টি মামলায় প্রেফতার করা হয় হাজার ৬২৮ জনকে। যাদের মধ্যে ৪৩২ জন ভ্রাম্যমান আদালতের সাজাপ্রাপ্ত।
চোরাচালান পণ্য উদ্ধার ঃ পুলিশ আইন শৃংখলা রক্ষায় শুধু কাজ করছে না পাশাপাশি চোরাচালানও নিয়ন্ত্রন করে চলেছে। এ সময়ে ৪১ টি মামলায় আটক করা হয়েছে ৫৪ জনকে। মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ কালে  উদ্ধার করা হয় ৩৩১ বোতল ফেন্সিডিল,৩১৭ বোতল বিদেশী মদ,১৫৪৪ ক্যান বিয়ার,২৬৪ প্যাকেট ক্যালসিয়াম। এসব উদ্ধার হওয়া চোরাচালান পন্যের মূল্য ধরা হয়েছে ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৬ ’শ টাকা। একইভাবে মিয়ানমারে পাচারের সময় উদ্ধার করা হয় ২০ বস্তা ইউরিয়া সার, ১ লাখ ৫৪ হাজার পিচ  জন্ম নিরোধক বড়ি ‘সূখী ’ ও ৭২ হাজার পিচ বিভিন্ন ধরনের ঔষধ।
মানব পাচার ঃ উপকূল দিয়ে বিভিন্ন সময় সাগর পথে মালয়েশিয়া যেতে  কক্সবাজার ছুটে আসছে অসংখ্য যুবক। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে ছুটে আসছে এরা। পুলিশ এ ধরনের অসংখ্য ভিকটিমকে উপযুক্ত অভিভাবককে হস্তান্তর করেছে। চলতি সময়ে এ সংক্রান্ত ৮০ টি মামলায় এ পর্যন্ত ৪১০ জনকে আসামী করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রেফতার করা হয়েছে ৮৭ জনকে। আটক করা ৫২৭ অবৈধভাবে মালয়েশিয়াগামীকে।
এ ছাড়া পুলিশ ছয় হাজার ৭২২ টি জিআর, চার হাজার ৮৩২ টি সিআর ও ২৩৪ টি সাজা পরোয়ানা নিষ্পত্তি করেছে ।
এ সময় কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ সাংবাদিকদের জানান, জেলার সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে পুলিশ। এরই অংশ হিসাবে উল্লেখযোগ্য আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এর পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রধারিদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। বলতে গেলে পুরো কক্সবাজার জেলা আইন শৃংখলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
উক্ত প্রেস কনফারেন্সে জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন