কক্সবাজারে পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সম্পাদকের কাছে উড়ো চিঠি

13735480_716686728469831_1124993216_n
শাহেদ ইমরান মিজান, সিটিএন:

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে হত্যার হুমকি দিয়েছে আইএস। হত্যার হুমকি দিয়ে আইএস’র পরিচয় বেনামী একটি চিরকূট পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে ডাকযোগে এই চিরকূট পাঠানো হয়। চিঠিতে একই সাথে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে কক্সবাজার জেলার হিন্দুদের প্রধান মন্দির ও মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরসহ ১২টি মন্দিরে হামলার ঘোষণা দেয়া হয়। চিঠি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত দাশ। এই হত্যার হুমকির ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন তারা।

এডভোকেট রনজিত দাশ জানান, ডাকযোগে পাঠানো চিঠিতি বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে তার হস্তগত হয়। চিঠিটি হাতের লেখা। চিঠিতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উদ্দেশ্য করে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো ‘ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি কক্সবাজার। আই.এস জঙ্গি সংগটন। আগামী ৩০ শে জুলাইয়ের মধ্যে কক্সবাজারের সর্বপ্রথম মন্দিরে হামলা চালাবো। বাক্ষ্ম মন্দিরে, এরপর কালিবাড়ি, ইসকন মন্দির, কৃষœানন্দ ধাম, শংকর মঠ বড় ধরণের হামলা চালাব, রামকৃষœ সেবাশ্রম। আমরা যতদিন না পর্যন্ত হিন্দুরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে না ততদিন পর্যন্ত এ জিহাদ চলবে। আমরা জঙ্গি আমরা ইসলাম চাই কক্সবাজারের সমস্ত মন্দিরের পুরোহিত সভাপতি সেক্রেটারি এদের আমরা আল্লাহ আকবরের নামে খুঁজে খুঁজে বের করে খুন করবো, আমরা আই.এস জঙ্গি পারিসত ভারতে পালিয়ে যা। আর না পারলে তোদের গলা কেটে হত্যা করব। যত বড় প্রশাসন আসুক না কেন হত্যা অবশ্যই করব। তারপরে মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরে বহুবার চেষ্টা করেছি পারিনি এইবার আর রেহাই নেই। আল্লাহ আকবর, আই.এস।’

এডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, ‘চিঠিটি পাওয়ার পর আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়ি। সাথে সাথে নিরাপত্তা চেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি করেছি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের অভয় দেয়া হয়েছে এবং সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ‘পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতির সাধারণ ডায়রি রুজু করেছি। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা আলাদা দেখছি। একই সাথে মন্দিরের নিরাপত্তা বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।’


শেয়ার করুন