কক্সবাজারবাসীকে জামায়াতের ঈদ শুভেচ্ছা

download (1)আসন্ন পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উপলক্ষে জেলাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কক্্সবাজার জেলা আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান, সেক্রেটারি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিমুল্লাহ। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ত্যাগ ও কুরবানীর মহান বারতা নিয়ে পবিত্র ঈদুল আদ্বহা আবারও মুসলিম উম্মাহর দ্বারে সমাগত। হযরত ইবরাহীম আ. আল্লাহর প্রতি নিরষ্কুষ আনুগত্য ও ত্যাগ স্বীকারের কারণে মহান আল্লাহপাক সন্তুষ্ট হয়ে কুরবানীর এই সুন্নাতকে কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত রাখার জন্য উম্মতে মোহাম্মদীর সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর ওয়াজিব করেছেন। সেই সাথে এই দিনটিকে মুসলিম উম্মাহর জন্য খুশির উৎসব হিসেবে পরিণত করেছে। মুসলিম উম্মাহর খুশির এই মহেন্দ্রক্ষণে আমরা জেলাবাসীকে জানাই ঈদ মোবারক। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী ইসলামের বিরুদ্ধে আজ ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে। ইসলামী শক্তির উত্থান ও বিকাশ রোধে কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী উঠেপড়ে লেগেছে। পাশ্চাত্য শক্তিগুলো আজ মুসলিম উম্মাহকে বিভিন্ন ইস্যুতে বহুধা বিভক্ত করে ফেলেছে। যার কারণে একসময়ের পৃথিবীর শাসক মুসলিম জাতি আজ ইউরোপ-আমেরিকার শরণার্থী হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, বাংলাদেশও আজ ইসলাম বিরোধী শক্তির টার্গেটে পরিণত হয়েছে। প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে উদীয়মান ইসলামী শক্তির অবস্থানকে দূর্বল ও বির্তকিত করে দেয়ার জন্য নানা কায়দায় ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চালিয়ে যাচেছ। এহেন প্রেক্ষাপটে আসন্ন ঈদুল আদ্বাহা থেকে আমাদেরকে আল্লাহর প্রতি নিরষ্কুষ আনুগত্য ও কুরবানীর শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ মুসলিম শক্তির মাধ্যমেই সম্ভব নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানো। নেতৃদ্বয় বলেন, ঈদের খুশি সকলের জন্য সমান হলেও সরকারি জুলুম-নির্যাতনের শিকার শত-শত ইসলামী আন্দোলনের পরিবারগুলোতে আজ ঈদের খুশি নেই। বিনা কারণ ও অন্যায়ভাবে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সরকার বাংলাদেশের শত-শত পরিবারের ঈদের খুশি ম্লান করে দিয়েছে। আমরা জুলুম-নির্যাতনের শিকার এসকল পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। পাশাপাশি আটক সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করছি। পবিত্র ঈদুল আদ্বহা আমাদের সকলের জন্য কল্যাণ, নিরাপত্তা, স্থিতি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক এই আমাদের প্রত্যাশা-ঈদ মোবারক।


শেয়ার করুন