কউক’র অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণের কোন সুযোগ নেই

img_20170123_152419ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও ইমারতের নকশা অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণের কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ।
তিনি বলেন, ইচ্ছেমতো ভবন নয়। অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণ করলে তা ভাঙতে আমাদের বেশী সময় লাগবেনা। যে কোন জমিতে ভবন নির্মাণের পূর্বে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে। অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণ করতে গেলে ইমারত নির্মাণ আইন-১৯৫২ ও ইমারত বিধিমালা- ১৯৯৬ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে। এতে কোন ছাড়া নেই।
সোমবার (২৩ জানুয়ারী) দুপুরে ‘ইমারত নির্মাণ ও ভূমি উন্নয়ন অনুমোদন কার্যক্রম উদ্বোধন’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কউক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
শহরের বিএমএ ভবনস্থ কউক’র অস্থায়ী কার্যালয় প্রাঙ্গনে সভায় কউক চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, এ পর্যন্ত নকশা অনুমোদনের জন্য ২১৭টি আবেদন পড়েছে। সেখানে প্রাথমিক যোগ্য বিবেচিত হওয়া ৪৮টির মধ্য থেকে ১২টির তদন্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬টির কাজ এখনো শুরু হয়নি। বাকী আবেদনের সার্ভে চলছে।
তিনি দুঃখ করে বলেন-আগে সুপারিশ করা ৪৮টি আবেদনের মধ্যে অনেকেই নীতিমালার মধ্যে পড়েনি। সেগুলো প্রয়োজনে অধিকতর তদন্ত করে অনুমোদন দেয়া হবে।
তবে, নিয়ম মেনে আবেদন করলে কারো ফাইল আটকে থাকবেনা বলেও জানান কউক চেয়ারম্যান।
সভায় বক্তৃতা করেন- জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, লে. কর্ণেল আনোয়ারুল ইসলাম, কক্সবাজার পৌর মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহবুবুর রহমান, কউক সদস্য ডা. সাইফুদ্দিন ফরাজি, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, মো. আবদুস সোবহান, কক্সবজার সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনা, ভবন নির্মাণ আইন, ইমারত নকশা সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন নগর পরিকল্পনাবিদ সরওয়ার কামাল।
সভা সঞ্চালনা করেন কউক চেয়ারম্যানের একান্ত সহকারী রাজিবুল হক রিকো।
অনুষ্ঠানে সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে যাবতীয় লেনদেনের সুবিধার্থে কউক ভবনের নীচতলায় বেসিক ব্যাংকের ‘কালেকশান বুথ’ উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখান থেকে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্রের জন্য কউক কর্তৃক নির্ধারিত আবেদন ফরম ৫০০ টাকায় (+১৫% ভ্যাট) সংগ্রহ করতে হবে।
আবেদনপত্র জমাদানের সময় অনুমোদন ফি হিসেবে ৫০০০ টাকা (নির্ধারিত ভ্যাটসহ) জমা দিতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পর গত ২০১৬ সালের মার্চে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) গেজেট অনুমোদন হয়। এরপর চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয় ১৪ আগস্ট।


শেয়ার করুন