উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে যা প্রয়োজন

1450886632-500x332প্রফেসর ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে যে ধরনের বিতর্ক সঞ্চারিত হচ্ছে তার অনেকখানি নেতিবাচক। অথচ গত সাত বছরে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নকে বর্তমান সরকার গুরুত্বসহকারে দেখছে। উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন ছাড়া এদেশের বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ব্যাঘাত ঘটবে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে “উচ্চশিক্ষা গুণগতমান বৃদ্ধি প্রকল্প” (ঐরমযবৎ ঊফঁপধঃরড়হ ছঁধষরঃু ঊহযধহপবসবহঃ চৎড়লবপঃ)-এর আওতায় সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ, কার্যকরী এবং জ্ঞানসমৃদ্ধ অধ্যয়ন ও গবেষণা কার্যক্রম ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ শুরু করেছেন যা ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা। শিক্ষার মান উন্নয়নের কোন শর্ট-কাট পদ্ধতি নেই। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যে সমস্ত কৌশল বর্তমান সরকারের আমলে গ্রহণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে দেশে গুণগত মানসম্পন্ন চাকরি-প্রার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। যথাযুক্ত ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়া শিক্ষার মান উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। এজন্যে হেকেপের অংশ হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের গুণ নিশ্চিতকরণ সেল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কাঠামোগত গুণ নিশ্চিতকরণ সেল (ওহংঃরঃঁঃরড়হধষ ছঁধষরঃু অংংঁৎধহপব ঈবষষ) অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ কাঠামোগত গুণ নিশ্চিতকরণ সেলের জন্যে সর্বাগ্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগভিত্তিক স্ব-নির্ধারণী জরিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ জরিপে অংশ নিচ্ছে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা, পুরাতন ছাত্র-ছাত্রীরা, চাকরিদাতারা, শিক্ষক-শিক্ষিকারা এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী। তবে অভিভাবকদের মতামত থাকলে ভাল হতো। এই স্ব-নির্ধারণী জরিপের মাধ্যমে শিক্ষার মাধ্যমে যে সমস্ত ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে তা চিহ্নিত করে আবার ত্রুটি-বিচ্যুতির আওতামুক্ত করার জন্য পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রের সংস্কারে এটি একটি ভাল উদ্যোগ। কেননা দেখা যায় যে, প্রচলিত শিক্ষা-পদ্ধতিতে অনেক সময়েই ভুল-ভ্রান্তিসমূহ চোখে পড়লেও তা দূর করা সম্ভব হয় না। তবে বহিঃস্থ নিরীক্ষার জন্যে এখনো ন্যাশনাল এ্যাক্রেডিনশিয়াল কাউন্সিল গঠন না করায় সরকারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। যারা সুযোগসন্ধানী তারা এটির অপব্যবহার করছেন। আসলে শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে গুণগত মানসম্পন্ন, কার্যকরী ও ধীশক্তিসম্পন্ন মানব সম্পদ তৈরি করা। এই গুণগত মানসম্পন্ন মানব সম্পদ তৈরি করা হয়েছে কিনা তা বস্তুতপক্ষে নির্ভর করে থাকে দেশি ও আন্তর্জাতিক পরিম-লে এদেশের স্নাতক উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের বাজার ব্যবস্থাপনার চাহিদার উপর। জীবনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থায় কার্যকর সে শিক্ষাব্যবস্থা যা দেশ, জাতি ও সমাজের মৌলিক উপকার সাধন করে। বেকারত্বের ঝুলি নিয়ে বসে থাকলে বরং দেশ-জাতি ও সমাজের অকল্যাণ সাধিত হয়। এজন্যে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় আউটকাম বেইজড শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার মান নিরূপণের জন্যে জাতীয় ত্র্যাসেসার নিয়োগ করা হচ্ছে। আমাদের উচ্চশিক্ষায় অনেক ভাল পদ্ধতি রয়েছে যেগুলোকে একটু স্ট্রাকচারড ফরমেটে গোছানো দরকার। এ লক্ষ্যে অবশ্য ইউজিসি কাজ করছে।
গত সাত বছর ধরে যে ধরনের গুণগত মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার প্রয়াস সরকার গ্রহণ করেছেন, থাইল্যান্ডে তা নব্বইয়ের দশকে শুরু হয়েছিল। শিক্ষার মান উন্নতকরণে আসিয়ানভুক্ত দেশসমূহ অত্যন্ত পারঙ্গমতার পরিচয় দিয়েছে। মালয়েশিয়ায় শিক্ষার মান সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হয়েছে। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর এখন এশিয়ার মধ্যে একনম্বর র্যাংকিং-এর অধিকারী। থাইল্যান্ডের ইন্টারন্যাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্সের জন্যে অফিস অফ দ্যা হায়ার এডুকেশন কমিশন (ঙঐঊঈ) দেখে থাকে। অন্যদিকে ১৯৯৯ সালে থাইল্যান্ডে অফিস ফর ন্যাশনাল এডুকেশন স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড কোয়ালিটি এসেসমেন্ট (ঙঘঊঝছঅ)-এর মাধ্যমে বহিঃস্থ শিক্ষার মান যাচাইয়ের ব্যবস্থা নিরপেক্ষভাবে করার জন্যে সরকারিভাবে ব্যবস্থা করা হয়। শিক্ষা ব্যবস্থায় থাইল্যান্ডে আমূল পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। তারপরও প্রতিদ্বন্দ্বী দেশসমূহ বসে নেই। তারাও ক্রমবিকাশমান হারে গুণগত মান বৃদ্ধিকল্পে নিয়মিতভাবে শিক্ষায় নিরীক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন করছে। পাশাপাশি গুণগত মানসম্পন্ন গবেষণার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে যেমন প্রকাশিত জার্নাল স্কুপস বা ঐ ধরনের মানসম্পন্ন ইনডেক্সিং হতে হবে। আবার তারা কাঠামোগত সংস্কার বিশেষত পড়াশোনার মান উন্নয়নের পাশাপাশি ভৌত অবকাঠামো বিনির্মাণে সচেষ্ট রয়েছে। শিক্ষা যাতে কেবল কোচিং সেন্টারের মত না হয়ে বাস্তবতার নিরিখে উন্নত মানসম্পন্ন হয় সে ব্যাপারে তারা বদ্ধ পরিকর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো ও লজিস্টিক সাপোর্ট উন্নত হতে হবে। থাইল্যা-ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.৩০% বার্ষিক। এজন্যে তারা এখন কেবল তাদের নিজেদের দেশের ঙঘঊঝছঅ-এর উপর নির্ভরশীল না থেকে আসিয়ান ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যা-ের শিক্ষার মানের সাথেও সমতা আনার জন্যে পাল্লা দিচ্ছে। তারা তাদের শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী যারা আসিয়ানভুক্ত দেশ এবং চীন থেকে যাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা আসে সে লক্ষ্যে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তাদের ভাবনা হচ্ছে যেহেতু তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারে নিম্নগতি সেহেতু আগামী দশ বছরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজস্ব ছাত্র-ছাত্রীরা কমে যাবে—এজন্যে এখন থেকেই বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা। এজন্যে তারা শিক্ষার মানকে আন্তর্জাতিক সমতা দিতে ইচ্ছুক। ধূরকিজ প-িত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. সৌমবুনওয়ান সাতয়িরকিট জানান যে, চীন থেকে আন্ডার গ্রেইভ লেভেলে ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তির আগে বাবা-মা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে ছাত্র-ছাত্রীরা কেমনভাবে থাকবে সেটা সরেজমিন দেখে যান। এজন্যে তারা সেখানে চীনা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে সে ধরনের আবহ তৈরি করেছেন। পরিবারের প্রধান শর্তই হচ্ছে সন্তান-সন্ততিরা যাতে নিরুদ্বেগ পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে। ধূরকিজ প-িত বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিটি যেন আধুনিকতা ও জ্ঞানের বিকাশের জন্যে নয়নাভিরাম। লাইব্রেরির নিচতলায় হালকা মেজাজের ব্যবস্থা যাতে অনিচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীরা বিনোদন আপ্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে। আরাম করে বসা থেকে শোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে অথচ এটির উপরতলায় কোন শব্দ ছাড়াই নির্বিঘ্নে গবেষণা কর্ম করছে। আবার একটি তলা রয়েছে যেখানে কেবল ই-বুক রয়েছে। কিং মংকুট’স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি থোনবুড়ী বর্তমানে একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের দেশের কান্ট্রি র্যাংকিং-এ ১ এবং বিশ্ব র্যাংকিং-এ ১৭ ছিল অথচ ২০১৪ সালে কান্ট্রি র্যাংকিং-এ ৫ এবং বিশ্ব র্যাংকিং-এ ৮০-তে পরিণত হয়েছে। আসলে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন প্রয়াস প্রয়োজন।
বস্তুত শিক্ষার মান উন্নয়নের যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন ধীরে ধীরে সাধিত হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের নিজস্ব ভৌত অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার সুযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি হলে থাকা-খাওয়ার মান বাড়াতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে ভৌত-অবকাঠামো রয়েছে তা যথাযথ হলেও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আরো আধুনিকায়ন করলে ভাল হয়। এজন্য প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে তহবিল দান করতে পারে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে হতে গোনা রয়েছে যেগুলোয় পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। উন্নত ভৌত অবকাঠামোর বিকল্প নেই। শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং প্রোগ্রামের কাঠামোয় প্রথমদিন থেকেই লার্নিং ও টিচিং-এর নিয়ম-নিষ্ঠা পালনের ব্যবস্থা করতে হবে। লার্নিং-এর ফলাফল শিক্ষকতার কৌশল এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পাঠদানে সম্পৃক্ততা ও নিরবচ্ছিন্নতা থাকতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়নে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা থাকতে হবে। ফলাফল নির্ধারণীর বিষয়ক শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনে আন্তরিক হতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাতে পাঠদানের পূর্বেই উপযুক্ত সময় নিয়ে পাঠদান তৈরি করেন এবং নতুন শিক্ষক-শিক্ষিকারা সঠিকভাবে পাঠদান করাতে পারেন সেজন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। পাঠ পঠনে ছাত্রছাত্রীদের ধীশক্তিকে বৃদ্ধি করতে হবে। প্রত্যেকটি প্রোগ্রামের গুণগতমান নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রোগ্রামের যথার্থতা এবং ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন কর্মসূচি বজায় রাখতে হবে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য স্বনির্ধারণী জরিপের মাধ্যমে দোষত্রুটি অবগত হওয়ার একটি বিরাট সুযোগ এসেছে। প্রতি ৫ বছরে একবার করে স্বনির্ধারণী জরিপ করা দরকার। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত এ প্রকল্পটির মাধ্যমে সরকার উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে তার আন্তরিকতার পরিচয় রেখেছেন। হেকেপ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কোয়ালিটি এশিওরেন্স সেল কাজ করছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত শিক্ষার মান উন্নয়নে পরিকল্পনা করা, নিরীক্ষা, কার্যকর এ নীতির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় উন্নয়ন করা। কোন বিশ্ববিদ্যালয় ইচ্ছা করলে ছঝ জধঃরহম অঁফরঃ করিয়ে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়নে চেষ্টা করতে পারে। কেননা উন্নততর রেটিং ছাড়া গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ও বহিঃস্থ নিরীক্ষা দ্বারা গুণগত মানসম্পন্ন হবে তাদের স্বীকৃতি দেয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আবার যে সমস্ত শিক্ষক তাদের নিষ্ঠা, কর্ম উদ্দীপনা দ্বারা পেশাদারিত্বের পরিচয় দেবেন তাদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। গবেষণা ক্ষেত্রেও গুরুত্ব বাড়াতে হবে।
বর্তমান সরকার ভিশন ২০২১-এর আওতায় শিক্ষার মান উন্নত করতে সচেষ্ট রয়েছে। সরকার যে ন্যাশনাল এ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল তৈরি করতে চাচ্ছেন, তা দ্রুত স্থাপন করা দরকার। ন্যাশনাল এ্যাক্রেডিটেশান কাউন্সিল গঠন করলে তারা বহিঃস্থত নিরীক্ষার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার মান দেখতে পারবে। যদি এ মুহূর্তে ন্যাশনাল এ্যাক্রেডিনশিয়াল কাউন্সিল গঠন না করা যায় তবে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। পাশাপাশি বিমস্টেক একটি আঞ্চলিক অঞ্চল যার মাধ্যমে এদেশের উচ্চশিক্ষার মান উন্নীতকরণে ব্যবস্থা নেয়া যায়। এজন্য অবশ্য একটি প্রস্তাবনা বাংলাদেশ থেকে আগামী বিমস্টেক (ইওগঝঞঊঈ) শীর্ষ সম্মেলনে পেশ করা যেতে পারে। বর্তমানে স্বনির্ধারণী জরিপের ভিত্তিতে দোষ-ত্রুটি-বিচ্যুতি খুঁজে বের করে উন্নয়নের জন্যে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা যেন বাস্তবায়িত হয় সেদিকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিকতার সাথে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। হলিস্টিক এ্যাপ্রোচ নিয়োজিত উন্নয়ন দরকার।
লেখক: শিক্ষাবিদ এবং ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনোমিস্ট, , ইত্তেফাক


শেয়ার করুন