উখিয়ার আলোচিত ৫৭ ধারার মামলায় জামিন

উখিয়া হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাষ্টার শাহ আলম বাদী হয়ে দায়ের করা তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার মামলায় অবশেষে উচ্চ আদালত থেকে বিবাদীগণ জামিন পেয়েছেন। গত ১০ জুলাই ২০১৭ইং হাইকোটের বিচারপতি ওবাইদুল হাসান এবং বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এর বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন। এই উপলক্ষ্যে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের শত শত জনতা তাৎক্ষনিক সংবর্ধনার আয়োজন করেন। হলদিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসলাম মেম্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল হক আমিন, সাংবাদিক জসিম আজাদ, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংবাদিক শফিউল্লাহ শাহীন, ব্যাংকার জামাল উদ্দিনকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী ও সহধর্মীনি জেলা পরিষদ মেম্বার আশরাফ জাহান কাজল, আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল হুদা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক যুব নেতা ইমাম হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। এ সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, হলদিয়াপালংয়ের বিশাল জনগোষ্ঠীর কল্যাণ ও উন্নয়নের নামে সরকারি বরাদ্ধ আতœসাতের উদ্দেশ্যে মুলত এ মিথ্যা মামলা। সাংবাদিকদের টুটি চেপে ধরতেই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মুলক মামলার আশ্রয় নিয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহত্তর হলদিয়াপালং ইউনিয়নের জনগোষ্ঠীকে দূর্নীতিবাজদের প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসতে হবে। সংবর্ধিত অতিথি আমিনুল হক আমিন বলেন, আমি রাজনীতি করে নেতা হয়েছি, কারো আর্শীবাদ নিয়ে রাজনীতি করতে আসিনি। কেউ যদি তা মনে করে থাকে, তা হবে বোকার সঙ্গে বসবাস। আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল হুদা বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে কেউ কোন দিন ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে পারেনি। জনগণকে হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কন্ঠরোধ করার এ অপচেষ্টার জবাব জনগণ আগামী দিনে দিবে। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন বলেন, নিরীহ সংবাদকর্মী ও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদের প্রতিবাদ প্রতিরোধ বন্ধ করা যাবে না। জনতার সংগ্রাম চলচেই চলবে। দায়েরকৃত ৫৭ ধারার এ মিথ্যা মামলাটি যথাযথ তদন্তপূর্বক প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।

এদিকে আলোচিত ৫৭ ধারায় রুজুকৃত উখিয়া থানার মিথ্যা ও হয়রানি মুলক মামলায় বিবাদীগণ জামিন পাওয়ার খবরে উপজেলার সর্বত্রের মানুষের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করতে দেখা গেছে। এ মামলার বিবাদীগণ জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যাংকারসহ গন্যমান্য ব্যক্তি হওয়ার কারণে প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে উপজেলার সর্বত্রে আলোচনা সমালোচনার যেন শেষ নেই।

১১ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকাল ৩টায় বিবাদীগণ ঢাকা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে মরিচ্যা লাল ব্রীজ এলাকায় প্রবেশ করার সাথে সাথে উপজেলার সহস্রাধিক নারী-পুরুষ তাদেরকে বরণ করতে দীর্ঘক্ষণ সারিবদ্ধ ভাবে অপেক্ষায় থাকে। এ সময় জনতার স্বতস্পুর্ত অংশগ্রহণ ও ভালবাসায় বিবাদীগণ সিক্ত হন। প্রত্যক্ষদর্শী লোকজনের মতে, একটি বহুল আলোচিত বদনাম বা কলংক ঢাকতে হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিথ্যা ও হয়রানি মুলক মামলায় নিরীহ লোকজনকে অহেতুক জড়াচ্ছে যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত ঘটনা। এ ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের লাগাম টেনে ধরার চেষ্টাও করছেন কথিত-বির্তকিত ওই চেয়ারম্যান পরিবার। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, হলদিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম সিকদার, ফজল করিম মেম্বার, সাবেক মেম্বার রোকেয়া খানম, ওবাইদুল হক ছোট্ট, আওয়ামীলীগ নেতা সুলতান আহমদ কালু, জাফর আলম, আমিনুল হক, বাবুল কালাম, হাজী আলি হোসেন, আবুল কালাম, সোনা মিয়া, আজিজ মেম্বার, কালী চরণ, আব্দুল মালেক, ছৈয়দ হোসেন ছৈয়দ, আলী আহমদ, মোক্তার আহমদ, যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল হাকিম বাবুল, দিদারুল আলম, নুরুল আলম, খোরশেদ আলম, আহছান উল্লাহ বাবর, আব্দুল্লাহ আল হারুন মানিক, রহমত উল্লাহ প্রমূখ।

 


শেয়ার করুন