ঈদ উৎসবে বন্দরনগরী

আনন্দ, উচ্ছ্বাস আর ত্যাগের মহিমায় এবং যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যরে মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে পালিত হচ্ছে মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা।

যথারীতি নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়েই সকালে শুরু হয় ঈদুল আযহার আনুষ্ঠানিকতা। নামাজের পর খুতবায় আত্মঘাতি জঙ্গিদের কাছ থেকে দেশ এবং দেশের মানুষকে হেফাজত করার জন্য মহান আল্লাহতালার কাছে আকুতি জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীতে এবার সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ১৬২ টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীতে ঈদুল আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল পৌনে ৮টায় জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এই ঈদ জামাতের আয়োজন করেছে। জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে সকাল পৌনে ৯টায় ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রথম ও প্রধান ঈদ জামাতের ইমামতি করেছেন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা নূর মোহাম্মদ সিদ্দিকী। দ্বিতীয় জামাতের ইমামতির দায়িত্বে থাকবেন একই মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল আটটায় এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে আয়োজিত ঈদের প্রধান জামাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী-শিল্পপতি সহ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজার হাজার মুসল্লীর সমাগম ঘটে।

সেখানে নামাজ আদায় করেছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাবেক মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাৎ হোসেন ও সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠসহ আরও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী-শিল্পপতি ও সাধারণ মুসল্লীরা।

নামাজ শেষে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মুসল্লীরা পরস্পরের সঙ্গে আলিঙ্গনের মধ্য দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

হ্জ্ব উপলক্ষে সৌদিআরবে থাকায় সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে ঈদের নামাজে এবার উপস্থিতি ছিলেন না।

এদিকে নামাজ আদায়ের পরপরই নগরীর বিভিন্ন অলিগলি, রাস্তায় মাঠে, বাসাবাড়ির সামনে কোরবানি শুরু হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সকাল থেকে প্রস্তুত দেখা গেছে সিটি কর্পোরেশনের সেবক ও গাড়ি।

ঈদ উপলক্ষে নগর ভবন সহ নগরীর বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, এতিমখানা এবং জেলা প্রশাসনের সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত চট্টগ্রামের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।


শেয়ার করুন