ঈদগড় ও ঈদগাঁও থেকে কাঠ পাচার অব্যাহত

Pictureনুরুল আমিন হেলালী :

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ঈদগ্ড় ও ঈদগাঁও রেঞ্জের আওতাধীন বিভিন্ন বনাঞ্চল থেকে এক শ্রেণির কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেট বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে দিনে ও রাতে ফ্রি স্টাইলে পাচার করছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ঈদগড় ও ঈদগাঁও এলাকার অবৈধ কাঠ পাচারের সদস্যরা প্রতিনিয়ত সামাজিক বনায়ন থেকে মূল্যবান গামারি, আকাশমণি ও গর্জন গাছ কেটে পার্শ্ববর্তী ঈদগাঁও বাজারের অবৈধ স’মিল ও ইট ভাটিতে পৌঁছে দিচ্ছে। এক শ্রেনির অসাধু এবং পরিবেশ বিধ্বংসী বন কর্তাদের ম্যানেজ করে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছে। অভিযোগ রয়েছে দিন দুপুরে এসব কাঠ ভর্তি জীপ,ডেম্পার,ট্রাক বাঁশষ্টেশন হয়ে ঈদগাওঁ পুলিশ ক্যাম্পের সামনে দিয়ে বাজারের ভিতর দিয়ে ফ্লিম-স্টাইলে চলে গেলেও নির্বিকার পুলিশ প্রশাসন।

ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক পথে,গজালিয়া বিট অফিসের আওতাধীন কান্ঞন মালা রাস্তা দিয়ে এবং ঈদগাঁও কালির ছড়া বিট অফিসের পার্শ্ববর্তী হামির পাড়ার রাস্তা দিয়ে বেশির ভাগ কাঠ ঈদগাঁও এর বিভিন্ন স,মিল ও ইটভাটায় পাচার হয় বলে জানান স্থানীয়রা। তবে আশ্চর্যের ব্যপার হচ্ছে প্রতিনিয়ত সংঘবদ্ধ গাছ খেকোরা সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সাবাড় করে দিলেও ঘুম ভাঙ্গছেনা বনরক্ষক নামের ভক্ষকদের বর্তমান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছুদিন কাঠ পাচার বন্ধ থাকলেও বর্তমানে প্রতিদিন দিনে রাতে ভোমরিয়াঘোনা অফিস সংলগ্ন বাঁশকল দিয়ে এবং কালিরছড়া বিট অফিসের আওতাধীন ধলিরছড়া হামিরপাড়ার রাস্তা দিয়ে এবং গজালিয়া কাণ্ঞন মালা সড়ক দিয়ে কাঠ পাচার অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ঈদগাঁও বাঁশ ষ্টেশন হয়ে বাজারের ভিতর দিয়ে বাঁশঘাটায় অবস্থিত স,মিলে পৌঁছনোর সময় এ প্রতিবেদক বিষয়টি নিজে প্রত্যক্ষ করেন।

এছাড়া স,মিল মালিক ও ইটভাটার মালিকরা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও বনকর্তাদের মাসিক মাসোহারা দিয়ে আলমাছিয়া সড়ক,কবি নুরুল হুদা সড়ক ও বাজারের ভিতর ডি সি সড়কের উপর দিয়ে নির্ভিগ্নে এসব কাঠ পৌঁছে যাচ্ছে স,মিল ও ইটভাটির ডিপোতে। এছাড়া গুলকাঠ ও চিরাই কাঠ বঙ্কিম বাজার সংলগ্ন সিরাজের স,মিলের সামনে ডি সি সড়কের উপর স্তুপ করে জন ও যান চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করার অভিযোগ পার্শ্ববর্তী দোকানদার ও গাড়ি চালকদের। এ বিষয়ে মেহেরঘোনা রেন্জ অফিসার মির হোসেন বলেন,সামাজিক বনায়নের কিছু প্লট মেয়াদপুর্ণ হওয়ায় তা কর্তন করা হচ্ছে।


শেয়ার করুন