ঈদগাঁওতে হঠাৎ মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে পানখেকোরা

Image-Pan(3)

আতিকুর রহমান মানিক: ঈদগাঁও থেকে
ঈদগাঁওতে আকস্মিক মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন পানখেকোরা। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যসহ পান-সুপারির মূল্য বৃদ্ধির অযুহাতে মালিক সমিতির ব্যানারে খিলিপানের দাম বৃদ্ধি করায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে সর্বত্র। প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, ঈদগাঁও পানের দোকান মালিক সমিতির ব্যানারে খিলিপানের দাম হঠাৎ করে বাড়ানো হয়। যা পহেলা ফেব্র“য়ারী থেকে কোন কোন দোকানদার কার্যকর ও শুরু করেছে। সমিতির সদস্য ভূক্ত দোকানসমূহে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ ও ঝুলানো হয়েছে। এতে প্রতি খিলি পানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ টাকা। এর আগে খিলি প্রতি দাম ছিল চার টাকা হারে। নোটিশের কোথাও কারো কোন স্বাক্ষরও নেই। কয়েকটি দোকানের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের কেউ কেউ পরিবর্তিত মূল্যে পান বিক্রি করছেন।

মাছ বাজার গলির মুদি দোকান সুমাইয়া ষ্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ রশিদ খিলিপানের মূল্য বৃদ্ধি করায় ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মাতবর মার্কেটের কুলিং কর্ণার মালিক গিয়াস উদ্দীন জানান, তিনি আগের মতো চার টাকা দরেই এখনও পান বিক্রি করছেন । পানখেকো সাকলাইন মোস্তাক দূ:খের সাথে জানান, বাজারকেন্দ্রীক লোকজন চা, পান ও সিগারেট নিয়েই বেঁচে আছেন। এর যে কোন একটির মূল্য বৃদ্ধি সরাসরি প্রভাব পড়ে তাদের দৈনন্দিন জীবনে।

নিউ মার্কেটের হীরা পান বিতানের স্বত্ত্বাধিকারী আবুল বশর জানান, তার দোকানে চার টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামের পান রয়েছে। গ্রাহকদের চাহিদা মতো তিনি পান সরবরাহ করে থাকেন। একই মার্কেটের ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর এন্ড পান বিতানের মালিক মিজানুর রহমান এবং কর্মচারী মোহাম্মদ রুবেল জানান, তাদের দোকানে নরমাল পানের খিলি চার টাকা এবং বিশেষ পানের খিলি পাঁচ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে। নিয়মিত ও অনিয়মিত পানখেকোদের অভিযোগ, বর্তমানে মালিক সমিতির নাম ভাঙ্গিয়ে খিলি পানের যে মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তাদের মতে চলমান শীত মৌসুমে বিরা পানের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে সত্য। তবে সহসাই বর্ধিত দাম নিচে নেমে আসবে। তখন মালিক পক্ষ কি খিলি পানের দাম কমাবে? পানখেকোদের আশংকা সাফ বক্তব্য, বাজারের দোকানদারদের স্বভাব এ রকম যে, কোন কিছুর দাম বাড়ালে তা আর কখনো কমান না।

এ ব্যাপারে মূল্য বৃদ্ধির প্রধান উদোক্তা ও সমিতির নীতি নির্ধারক মো. রফিকুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত ও সময়োচিত বলে মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে মালিক সমিতির নাম ভাঙ্গিয়ে ঈদগাঁওতে আবারো পানের মূল্য খিলি প্রতি এক টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে পানখেকোদের তীব্র প্রতিবাদ ও সমিতিভূক্ত সদস্য দোকানীদের অনীহার কারণে তা বাস্তবায়ন হতে পারেনি।

ঈদগাঁওর বিশিষ্টজন কুতুব উদ্দিন চৌধরী বলেন, ইতি পূর্বে হোটেল রেস্তুরার মালিকরা চায়ের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় চা আন্দোলন করে দাম কমানো হয়েছিল, এখন পানের দাম না কমালে সর্বস্থরের পানখেকোদের সাথে নিয়ে আবার “পান আন্দোলন” শুরু করা হবে।


শেয়ার করুন