ইস্তাম্বুলে নাইটক্লাবে ‘সন্ত্রাসী হামলায়’ নিহত ৩৫, আহত ৪০

turkey-new-bg20170101063510ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকালে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে (১ জানুয়ারির প্রথম প্রহরে) নগরীর বেসিকতাস এলাকার জনপ্রিয় রেইনা নাইটক্লাবে এ হামলা হয়। ইস্তাম্বুলের গভর্নর বাসিফ শাহীনের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিচ্ছে।

খবরে বলা হয়, একজন বন্দুকধারী নাইটক্লাবে হামলা চালিয়েছে। এসময় তার বেশ-ভূষা ছিল সান্তা ক্লজের। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে পুলিশের অতিরিক্ত গাড়ি ও বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স।

এই হামলাকে ‘বর্বরোচিত’ ও ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে বাসিফ শাহীন বলেন, লং-ব্যারেলড বন্দুক নিয়ে একজন সন্ত্রাসী রাত সোয়া ১টার দিকে ক্লাবে ঢুকে পড়ে, তার আগে সে ক্লাবের ফটকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে। এরপর ভেতরে ঢুকে হত্যা করে নববর্ষ উদযাপনে অন্য নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের।

গভর্নর জনান, এই বর্বর সন্ত্রাসী হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৪০ জনকে।

ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে এশিয়া ও ইউরোপ দুই মহাদেশের নগরী বলে খ্যাত ইস্তাম্বুলে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। উৎসব উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে রাতভর মাঠে আছে ১৭ হাজার পুলিশ সদস্য। এই নিরাপত্তার বলয় ভেঙেই এমন সশস্ত্র হামলা হলো।

হামলাটি কারা চালিয়েছে ঠিক এ বিষয়ে এখনও কোনো ধারণা না পাওয়া গেলেও গভর্নর জানান, এ ঘটনায় এরইমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।

এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোগান ও প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।

হামলার কড়া নিন্দা জানিয়ে তুরস্কের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ বিশ্ব নেতারা। ঘটনার তদন্তে সহযোগিতারও প্রস্তাব দিয়েছেন ওবামা।

এই হামলার ঠিক তিন সপ্তাহ আগে ইস্তাম্বুলেই জোড়া বোমা হামলায় ৪৫ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পুলিশ সদস্য।

 


শেয়ার করুন