ইরাক-ইরানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত দুই শতাধিক

নিউজ ডেস্ক
ইরাক ও ইরানের সীমান্ত অঞ্চলে এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশ দুটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রোববারে এই ভূমিকম্পটি ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ছিল বলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে; তবে ইরাকের আবহাওয়া বিভাগ বলছে, এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫।

ভূমিকম্পে আরো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন।

ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল ইরান সীমান্তবর্তী ইরাকের আধা স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্থানের সুলাইমানিয়া প্রদেশের পেঞ্জভিনে। এলাকাটি ইরানের সঙ্গে প্রধান সীমান্ত ক্রসিংয়ের সন্নিকটে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র বেহনাম সাঈদি জানিয়েছেন, ইরানে অন্তত ২০৭ জন নিহত ও ১,৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

উদ্ধাকারীরা ইরানের দুর্গম এলাকাগুলোতে পৌঁছানোর পর মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

ইরানের বেশ কয়েকটি প্রদেশে ভূমিকম্পটি অনুভূত হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কেরমানশাহ প্রদেশে। কর্তৃপক্ষ প্রদেশটিতে তিনদিনের শোক ঘোষণা করেছে।

ইরাকি সীমান্তের প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে কেরমানশাহের সারপোল ই জাহাব শহরে ১৪২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। শহরের প্রধান হাসপাতালটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আহত শত শত মানুষকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে।

ইরাকের কুর্দিস্থানের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সেখানে অন্তত চারজন নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

ভূমিকম্পে ইরাকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুলাইমানিয়া শহরের ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর দারবান্দিখান। এখানে ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুর্দিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রেকবত হামা রাশীদ।

এই ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শহর দিয়ারবাকিরও কেঁপে ওঠে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে থেকে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত খবর পাওয়া যায়নি।

ভূপৃষ্ঠের ৩৩ দশমিক নয় কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পটি ইসরায়েল ও কুয়েতেও অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।


শেয়ার করুন