ইতিহাসের চার জঘন্যবিশ্বাস ঘাতকের কারণে দেশ পিছিয়ে

Pic_01প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, ‘ইতিহাসে চার জঘন্য বিশ্বাস ঘাতক মীর জাফর আলী, গোলাম আজম, খন্দকার মোস্তাক ও জিয়াউর রহমান। এই চার বিশ্বাস ঘাতকের কারণে এ দেশের মানুষ পিছিয়ে গেছে। জাতির জনককে যদি হত্যা করা না হতো, তাহলে আজ আমরা বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশে উপনীত হতে পারতাম।’
মন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টকে আরো কলঙ্কিত করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তার ছেলে তারেক জিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে নারী নেত্রী আইভী রহমানসহ ২২ জনকে হত্যা করে এবং শতশত আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন ও মহিলা লীগের নেতা-কর্মীকে আহত করে কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলাটি করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া এবং তার সন্ত্রাসী পুত্র তারেক জিয়া।’
শুক্রবার সকাল ১১ টায় কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় এই চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচিতে ২২ শ’ জন অসহায়, দুস্থ রোগীকে বিনামূল্যে দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন কক্সবাজার শাখার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এসময় রোগীদের মাঝে প্রায় পৌনে ৭ লাখ টাকার ওষুধ দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে। এই ধরনের চিকিৎসা সেবা পেয়ে খুবই উৎফুল্ল সাধারণ মানুষ। তারা এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ক্যাম্পে শুরু হওয়া চিকিৎসা সেবাটি দীর্ঘ মেয়াদী। এখানে চিকিৎসা নেওয়া রোগীরা পরবর্তীতে একই চিকিৎসকের কাছে ফলোআপ চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ‘দেশ কতদিন পিছিয়ে গেছে?’ এমন প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী বলেন, ‘৪০-৪৫ বছর আগের মালয়েশিয়ার দিকে তাকান, কোন অংশে মালয়েশিয়া আমাদের চাইতে অগ্রগামী ছিলো না। উন্নত একটি দেশ ছিল না। এই ৪৫ বছরে কোথায় মালয়েশিয়া, আর কোথায় আমরা? জাতির জনককে যদি হত্যা করা না হতো, তাহলে আজ শুধু মালয়েশিয়া কেনÑমালয়েশিয়াকে অতিক্রম করে আমরা বিশে^র অন্যতম উন্নত দেশে পরিনত হতে পারতাম। যা এখন করছেন জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে আজকে দেশে যে উন্নয়ন কর্মকান্ড হতে চলেছে, চলছে, অগ্রগ্রামী হচ্ছেÑএর স্বীকৃতি হিসেবে আমরা নি¤œ মধ্যম আয়ে পৌঁছে গেছি এবং মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছে যাব ২০২১ সালের মধ্যে। ২০৪১ সালের মধ্যে রাশিয়া, জাপান, চীনের মতো উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাব।’
মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে কোন সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে নয়, রাজনৈতিক নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে এই দেশের ৩০ লাখ প্রাণ চলে গেলো, শহীদ হলো। আর সেই হায়েনারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, রাজাকার, আলবদর, আল শামস্, জামায়াতে ইসলামী মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। ওই হায়েনাদের পরাজিত করে, যারা আমাদের লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি ঘটিয়েছিলোÑ ওদেরকে পরাজিত করে আমরা এদেশ স্বাধীন করলাম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এই দেশ মানচিত্রে সার্বভৌম, স্বাধীন ভূখন্ড হিসেবে চিহ্নিত হলো।’
‘প্রত্যেক গৃহহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাড়িঘর নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছর ভূমি মন্ত্রণালয় ১০ হাজার বাড়ি-ঘর নির্মাণ করছে। আগামী ২০১৭ সালের মধ্যে আরো ৫০ হাজার মানুষের জন্য সরকারি খরচে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করা হবে।’
কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, স্বাগত বক্তব্য রাখেনজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, স্বাধীনতা চিকিৎক পরিষদ কক্সবাজার জেলা শাখার আহ্বায়ক ডা: মাহবুবুর রহমান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, সাবেক সাংসদ এথিন রাখাইন, কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সভাপতি মো: খোরশেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন, অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ, মাহবুবুল হক মুকুল, অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম, অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, অ্যাডভোকেট বদিউল আলম, অ্যাডভোকেট তাপস রক্ষিত, অ্যাডভোকেট আব্দুর রব, রাশেদুল ইসলাম, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বিএমএ নেতা সাইফুদ্দিন ফরাজী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আয়েশা সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা চৌধুরী লুনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিনা আক্তার রিটা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম মাদু, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, বাপ্পী, হাজী এনামুল হক, রফিক মাহমুদ, শুভদত্ত বড়–য়া, ডা: পরিমল, রিদুয়ান আলী, ইউসুফ বাবুল, জানে আলম পুতু, জহিরুল কাদের ভুট্টো, রফিকুল ইসলাম, এবি সিদ্দিক খোকন, মো: ইউনুস, আহমদ উল্লাহ,মেজবাহ উদ্দিন কবির, তাজ উদ্দিন তাজু, জিয়া উল্লাহ চৌধুরী, কৃষকলীগের আনিসুল হক, ইউসুফ বাবুল, জামশেদ আলম জনি প্রমুখ।
এদিকে বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।
দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিসা সেবা প্রদান কার্যক্রমে নিরলস পরিশ্রম করেছেন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রেজাউল করিম, প্রফেসর আ.জ.ম সাদেক, প্রফেসর আবুল কাশেম, প্রফেসর প্রবীর কুমার দাশ, প্রফেসর ফরহাদ হোসেন, সিনিয়র কনসালটেন্ট যথাক্রমে মো: গাজী জাকায়েত উল্লাহ, মো: আকতার কামাল, মো: গিয়াস উদ্দীন, ফখরুল কবির, প্রফেসর মো: মাঈন উদ্দিন, মো: সাখাওয়াত হোসেন, মো: মোস্তফা নুর মহসীন, মো: আরিফ হোসেন, এ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর যথাক্রমে এবিএম আদনান, আবদুস সালাম, নুরুল আলম, রেজাউল করিম মনসুর, শাহেদ, আইয়ুব আলী, জুনিয়র কনসালটেন্ট যথাক্রমে খাইরুন্নেছা, শিরিন আক্তার জাহান, লুৎফুনন্নাহার বেগম, আবু মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, ফরিদুল হক, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আএমও ডা: সুলতান আহমেদ সিরাজী, ডা:সেলিম ও ডা: ইয়াছির আরাফাত। পুরো চিকিৎসা কার্যক্রমের সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় ছিলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা: সাইফুদ্দিন ফরাজী ও সুনয়ন বড়–য়া।
এছাড়াও বিন্যামূল্যে চিকিৎসা কার্যক্রমে আন্তরিকতার সাথে কাজ করেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো: মুছাব্বির হোসেন, মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নেতা মো: আরিফুর রহমান, মো: রবিন,মো: রায়হান,মো: জাহিন, অমিত কুমার পাল সাগরসহ ৪০ জন মেডিকেল স্বেচ্ছাসেবক।


শেয়ার করুন