ইউরোপের উদ্দেশ্যে সাগড় পাড়ি দিচ্ছে বহু অভিবাসী

উন্নত জীবনের আশায়, নিজের দেশ ছেড়ে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমানো মানুষের স্রোত চলছেই।

এভাবেই অবৈধ পথে ইউরোপ যাত্রা করার সময়, ১২জন খ্রিস্টানকে নৌকোর ওপর থেকে জলে ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগে, ১৫জন মুসলিমকে গ্রেফতার করেছে ইতালির পুলিশ।

যে সব খ্রিস্টান অভিবাসীদেরকে জলে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল তারা সকলেই নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনার শিকার মানুষেরা আফ্রিকার দেশ ঘানা ও নাইজেরিয়ার নাগরিক বলে জানা গেছে।

অন্য আরেকটি পথে নৌকা করে সাগর পাড়ি দিয়ে আফ্রিকা থেকে ইউরোপ যাত্রা করার সময় সেই নৌকোটি ডুবে অন্তত ৪০ জন অভিবাসীর ডুবে গেছে বলে জানা যাচ্ছে।

ইতালি ও লিবিয়ার মাঝামাঝি একটি জায়গায় এই নৌকাটি ডুবেছিল।

ইতালির কোস্ট-গার্ড জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারে অন্তত ৯০০ মানুষকে তারা উদ্ধার করেছে।

যারা সমুদ্র পাড়ি দেয় তাদের ভোগান্তির কথা জানাচ্ছিলেন নোয়েমি গুরনারি নামে একজন স্বেচ্ছাসেবী।

মিস গুরনারি বলছেন, “সর্বশেষ যে গ্রুপটি এসেছে সেখানে দুটো মেয়ে আছে।

লিবিয়ার কাছে ডুবে যাওয়া সেই নৌকোয় এই মেয়ে দুটোও ছিল; ছিল তাদের বাবা-ভাই ও বোন।

কিন্তু তাদের বাবা, ভাই ও বোন নৌকা ডুবিতে মারা গেছে”।

সম্প্রতি, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রা করেছিল এরকম প্রায় ১০ হাজার অভিবাসীকে নানা সময়ে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইতালিয়ান কোস্ট গার্ড।

সাগর পাড়ি দিয়ে আসা অবৈধ অভিবাসীদের সংকট মোকাবেলা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা চেয়েছে ইতালি।

ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদসংকুল পথ ধরে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রা করার সময় চলতি বছরেই অন্তত ৫শ জন নিহত হয়েছে।

আর এই সপ্তাহের শুরুর দিকেই একটি নৌকো ডুবিতে অন্তত ৪০০ মানুষ ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


শেয়ার করুন