ইউপি নির্বাচন: আ.লীগ-৪৩৬, বিএনপি-৩৪, অন্যান্য-৮৯

015025up-1111111111-500x333সিটিএন ডেস্ক:

বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার মধ্য দিয়ে প্রথম পর্যায়ে ৭১২ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা। ঘোষিত ফলাফল :  ৫৫৯ এর প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী আ’ লীগ: ৪৩৬, বিএনপি: ৩৪, জাতীয় পার্টি: ০৪, স্বতন্ত্র ৭৮ ও অন্যান্য ০৭ প্রার্থী ও স্থগিত ২৭ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার কারণে  বিভিন্ন জেলায় বিএনপির ২৭ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ অন্তত ৩৪ জন প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী  লীগের দু’জন, জাতীয় পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র চার প্রার্থী রয়েছেন।

নির্বাচনী সহিংসতায় ঝালকাঠিতে একজন নিহত হয়েছে। কেন্দ্র দখল, ভোটারদের ভোটদানে বাধা আর এজেন্টদের বের করে দেয়ার ঘটনায় বহু কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এসব কারণে ভোটের উৎসব থেকে বঞ্চিত হয়েছে বহু কেন্দ্রের ভোটার।

প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ যথারীতি বিকাল চারটায় শেষ হয়। কেন্দ্র দখল আর সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া বহু ইউনিয়নের নির্বাচন হওয়ায় অনেক ভোটারের ফলাফল জানার জন্য রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করতে হবে না। ভোট শেষ হওয়ার আগেই ফল নির্ধারিত হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে দেশের ৭১৭টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন শুরু হলেও সহিসংতা শুরু হয়েছে গতরাত থেকেই।

কক্সবাজারে আকবর ডেইল ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী, ভোলার পশ্চিম ইলিশায় বিএনপি প্রার্থী, ছোট বিঘায় বিএনপি প্রার্থীসহ তিনজন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

কারচুপির অভিযোগে বরিশালের দরিয়ারচড় খাজুরিয়া ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী আব্দুল কাদের এবং পটুয়াখালীর বগা ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম ইউসুফ নির্বাচন বর্জন করেছেন। ঝালকাঠিতে ২৫ জন বিএনপি প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চার ইউনিয়ন ও রামগতিতে ২টি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। বি.বাড়িয়ায় বাঞ্ছারামপুরে ৬টি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। খুলনার ৩টি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

পাবনার বেড়ায় ২টি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বিএনপির ৪জন ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

পিরোজপুরের সোহাগদরের ১টি কেন্দ্র, বরিশালের গৌড়নদী ও আগৈলঝড়ায় ১২টি ইউনিয়নের সবকটি কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নেসারাবাদের ৩টি ইউনিয়নে  বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার কুমিরা ইউনিয়নে তিনটি কেন্দ্রে, সদরে দুটি ও শ্যামনগরে একটি কেন্দ্রে এবং বরিশালের করাপুরে একটি কেন্দ্রে, ভোলার সদরে ও দৌলতখানে ৩টি কেন্দ্রে  ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।


শেয়ার করুন