‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ মঙ্গল শোভাযাত্রা

09381e2c1b72fcd07f049ad34924bf5d-58f04d2381bb1নববর্ষে মঙ্গলবার্তা নিয়ে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবারের প্রতিপাদ্য ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর’। প্রতিবারের মতো এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রায় হরেক রঙের মুখোশ, হাতি, বাঘ, ফুল, পাখির প্রতিকৃতি ছিল। সমৃদ্ধির প্রতীক কালো হাতি সবার সামনে। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় রাখা হয় সূর্য। সেটি পেছনে ঘোরালে দেখা যায়—একটি কালো মুখ। যার মাধ্যমে তুলে ধরা হয় বাংলার ঐতিহ্যকে। শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া নারীরা পরেছেন লাল, সাদা শাড়ি। হাত ভর্তি কাচের চুড়ি। চুলে বেলি ফুল। শিশুরাও সেজেছে লাল, সাদার সাজে। পুরুষদের সাজও তাই। বাংলার চিরায়ত সাজে নববর্ষ বরণ করছে সবাই।

আজ শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। এ ছাড়া শোভাযাত্রায় অংশ সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় মানুষের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে এ দেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। এ কথা উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘কুসংস্কার, অন্ধকারাচ্ছন্ন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী যে অপশক্তি আছে মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে আমরা তাদের নির্মূল কামনা করি। সেই সঙ্গে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সফলতা কামনা করি। এটা হচ্ছে মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল উদ্দেশ্য। অপশক্তি, সন্ত্রাসীদের নির্মূল করে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাব। সেই এগিয়ে যাওয়া কেউ বাধাগ
তিন দশক ধরে বর্ষবরণের অন্যতম আকর্ষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা। গত বছর ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে এ শোভাযাত্রা। এবারের আয়োজন তাই একটু বেশি। এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আমাদের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। কেন করেছে? কারণ বাংলাদেশে যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়, সেটা কেবল বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করে নয়, পৃথিবীর সাত শ কোটি মানুষের মঙ্গল কামনা করে করা হয়।’

মঙ্গল শোভাযাত্রা রূপসী বাংলা মোড় হয়ে টিএসসি হয়ে আবার চারুকলায় গিয়ে শেষ হয় সকাল ১০টার পর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীতে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়।


শেয়ার করুন