অস্ত্র মামলায় অভিযোগপত্র, মুক্তি পাচ্ছেনা রণি

roni-sm2016061312062620160619154706সিটিএন ডেস্ক :

চট্টগ্রাম: অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। এর ফলে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও আপাতত রণির মুক্তি মিলছেনা।

রোববার (১৯ জুন) চট্টগ্রামের চতুর্থ বিচারিক হাকিম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করা হয়েছে। আদালত অভিযোগপত্র সিন করে পরবর্তী কার্যক্রম শুরুর জন্য সেটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

অভিযোগপত্রে শুধুমাত্র নূরুল আজিম রণিকে আসামি করা হয়েছে এবং ২২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো.মশিউর রহমান।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযোগপত্রটি জেলা আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় জমা দেন অস্ত্র মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাটহাজারী থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) দেলোয়ার হোসেন। রোববার সেটি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।

গত ৭ মে বেলা সোয়া ১২টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর থেকে রণিকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এরপর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন নির্বাচনে দায়িত্বরত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদ। এছাড়া অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়।

গত ২৫ মে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল মামলায় রণিকে জামিন দেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তবে অস্ত্র মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন।

এরপর রণির পক্ষে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানানো হলে গত ১৩ জুন ছয় মাসের জন্য জামিন দেন আদালত।

তবে জামিন আদেশ এখনও চট্টগ্রাম কারাগারে এসে পৌঁছেনি।

নূরুল আজিম রণির আইনজীবী অ্যাডভোকেট রণি কুমার দে বাংলানিউজকে বলেন, যেহেতু জামিন আদেশ আসার আগেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে সেক্ষেত্রে রণির মুক্ত হবার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে আবারও জামিনের আবেদন করতে হবে।

গত ৭ মে আটকের সময় রণির কাছে একটি নাইন এমএম পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলি ও ২৬ হাজার টাকা পাওয়া যায় বলে গণমাধ্যমে তথ্য দিয়েছিল বিজিবি। এসময় রণিসহ নয়জনকে আটক করা হলেও অস্ত্র মামলায় শুধুমাত্র রণিকেই আসামি করে পুলিশ।

চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিত রণিকে আটকের সময় পাঞ্জাবির কলার ধরে টানা-হেঁচড়া ও শারীরিক লাঞ্ছনার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ঘটনার দিন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। রণির মুক্তির দাবিতে রাজপথে নামে ছাত্রলীগ।

নূরুল আজিম রণি চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে রাজনীতিতে পরিচিত।


শেয়ার করুন