অভিজিৎ হত্যার সময় ডিএমপি’র ‘পুরস্কারপ্রাপ্ত’ ছাত্র নেতারা কোথায় ছিলেন?

অভিজিৎ হত্যার সময় ডিএমপি'র 'পুরস্কারপ্রাপ্ত' ছাত্র নেতারা কোথায় ছিলেন?সিটিএন ডেস্ক:
চাঞ্চল্যকর অভিজিৎ হত্যার ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে
পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চল্লিশটি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টিত ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণকারীসহ নাশকতাকারীদের ধরতে বা ধরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ছাত্রলীগের নেতারাও এখন বেশ তৎপর।
সম্প্রতি নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দেয়ায় ডিএমপি’র পক্ষ থেকে এসব ছাত্রলীগের নেতাদের নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদানও করা হয়েছে।

অথচ শাহবাগ থানা পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরই গ্রন্থমেলার সামনে ব্লগার অভিজিৎ রায়কে নৃশংসভাবে খুন করে দুর্বৃত্তরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতকরা পালিয়ে গেলেও তাদেরকে আটক পারেনি। তাই এই সময় ছাত্রলীগের পুরস্কারপ্রাপ্ত নেতারা কোথায় ছিল? তা নিয়েও এখন জনমনে নানা প্রশ্নের দানা বেঁধেছে।

অথচ পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, গ্রন্থমেলাকে ঘিরে সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। তাহলে কিভাবে খুনিরা নির্বিঘ্নে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটালো, এমন প্রশ্নের মুখোমুখি এখন খোদ পুলিশই। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পর রোববার পর্যন্ত কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। আর হত্যাকাণ্ডের দুই ঘণ্টার মধ্যেই আনসার বাংলা-৭ নামের একটি সংগঠন অভিজিৎকে খুনের দায় স্বীকার করে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ‘নিহতের স্বজন, ব্লগার ও বিভিন্ন সংঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাস্থলের ৫০ গজ দূরেই দায়িত্ব পালন করছিল পুলিশ। সেখানে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানও ছিল। হামলার শিকার হয়ে অভিজিৎ ও তার স্ত্রী বন্যা ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করলেও কেউ তখন তাদেরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সোহরাওয়ার্দীতে প্রবেশ পথের উত্তর দিকের সামনের ফুটপাতে ঘটনাস্থলে (ক্রাইম সিন) এখনো রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। সেখানে লেখক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।

ঘটনাস্থল রাজু ভাস্কর্যের ২৫ গজ উত্তর পাশের সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন পুলিশের ব্যারিকেড এর পাশেই। গ্রন্থমেলামুখী সব লোককে এখানে দেহ তল্লাশি করে প্রবেশ করতে দেয়া হতো। প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ গ্রন্থমেলায় আসা-যাওয়া করতো।

আর টিএসসিতে বসে আড্ডা দেন তরুণ-তরুণীরা। গ্রন্থমেলা ছাড়াও বাংলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই এলাকা নিরাপত্তা বলয়ে থাকে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে তা আরও জোরদার করা হয়। পুরো এলাকাটি প্রতিদিন ৪০টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হয়। এমন নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই নির্বিঘ্নে অভিজিৎকে হত্যার ঘটনায় স্তব্ধ খোদ পুলিশ কর্মকর্তারা। অভিজিৎ হত্যার পরপরই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনার পরপরই এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের আলামত সংগ্রহ করেছে। আর গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, হামলাকারীরা অভিজিৎকে পেছন দিক থেকে ধারালো চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে। এ সময় তাকে রক্ষা করতে তার স্ত্রী বন্যা এগিয়ে গেলে তাকেও কোপানো হয়। দুষ্কৃতিকারীদের চাপাতির আঘাতে বন্যার একটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় অভিজিৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। রক্তে ভেসে যায় ফুটপাত। তার মাথা থেকে মগজ বের হয়ে মাটিতে ছড়িয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে ঘাতকরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এসময় বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে লোকজনের সাহায্য চান বন্যা। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোক জড়ো হলেও তারা নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়েই ছিলেন।

শুধু তাই নয়, দায়িত্বরত পুলিশও প্রথমে বন্যার আর্তচিৎকারে সাড়া দেয়নি। এসময় প্রথমে জীবন নামক এক ফটোসাংবাদিকসহ কয়েকজন এগিয়ে যান। তাদের সহযোগিতায় অভিজিৎ ও বন্যাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এসময় টিএসসি ব্যারিকেডের দায়িত্ব পালন করছিলেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি জানান, আমরা (পুলিশ সদস্যরা) তখন গ্রন্থমেলার দায়িত্ব পালন করছিলাম। আমাদের অবস্থান ছিল গ্রন্থমেলার টিএসসি ব্যারিকেডে। প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি। একপর্যায়ে চিৎকার শুনে এগিয়ে যাই। এসময় কয়েক ব্যক্তি আহতদের সিএনজি অটোরিকশাযোগে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনাটি বুঝতে পেরে ওই অটোরিকশার পেছনে হাসপাতালে যান তিনি।

পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান বলেন, অনেক সময় জনসমাগম এলাকায় টার্গেট ওরিয়েন্টেড কিলিং এ অংশ নেয়াদের হাতেনাতে ধরা কঠিন হয়ে যায়। ঘটনার পরপরই পুলিশ ও ডিবি পুলিশসহ র‌্যাব ও সিআইডি তদন্তের পাশাপাশি বিভিন্নস্থানে অভিযানও চালাচ্ছে। নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে জানান শিবলী নোমান।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, অভিজিৎ কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারীরা প্রশিক্ষিত ছিল। জনসমাগম এলাকায় হত্যাকা- সংঘটিত করে নিরাপদে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

বৃহস্পতিবার গ্রন্থমেলায় যাওয়ার পর থেকেই দুষ্কৃতিকারীরা তাকে অনুসরণ করছিল বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।

তাদের ধারণা কিলিং মিশনে অংশ নেয়া সন্ত্রাসীরা একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে তার উপর হামলা চালায়। মূল কিলিংয়ে দুই জন অংশ নিলেও পরোক্ষভাবে আরও কয়েকজন ছিল হত্যা মিশনে। ঘটনাস্থলের আশপাশেই তারা অবস্থান নিয়েছিল। এসব বিষয়কে সামনে রেখেই তদন্ত শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম এই হত্যাকাণ্ডের পরপরই বলেছেন, জঙ্গিরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি জানান, প্রত্যক্ষদর্শীরা তেমন কোন তথ্য দিতে পারেনি। তবে সেলিম নামে এক ফুল বিক্রেতা পুলিশকে জানিয়েছেন, কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারী দু’জন মধ্যে একজনের পরনে সাদা শার্ট, অন্যজনের পরনে ছিল কোর্ট। তাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর হবে। প্রত্যক্ষদর্শী সেলিম চিৎকার করলে হামলাকারীরা তার দিকে তেড়ে যায়। এতে তিনি ভয়ে পালিয়ে যান।

পুলিশ জানায়, অভিজিৎকে হত্যার দুই ঘণ্টার মধ্যেই আনসার বাংলা-৭ নামের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে অভিজিৎ হত্যার দায় স্বীকার করা হয়েছে। টুইটার বার্তায় লেখা আছে, ‘জয় নোজ নো বাউন্ডস, ভিআইপি টার্গেট ইজ ডাউন ইন ঢাকা।’ এবং ‘আল্লাহু আকবর. বাংলাদেশে আজ একটি বিশাল সাফল্য। টার্গেট ইজ ডাউন।’ ‘আনসার বাংলা ৭’ নামের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টুইট করার পর হত্যার দায় স্বীকার করে আরও বেশকিছু টুইট করা হয়। ওইসব টুইটে অভিজিৎ হত্যাকা-কে ‘বিজয়’ হিসেবে দাবি করা হয়েছে। ‘আনসার বাংলা ৭’ নামের সংগঠনকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সহযোগী বলে মনে করছে পুলিশ।

একাধিক বইয়ের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল জানান, প্রগতিশীল এই লেখককে বিভিন্ন সময়ে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে। ঘটনার দিন স্ত্রী বন্যাকে নিয়ে বইমেলায় যান অভিজিৎ। সেখানে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে বের হলেই এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সম্প্রতি নাগরিক ঐক্যের নেতা ও সরকার দলের সাবেক নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার ‘টেলিফোন কেলেঙ্কারির’ তথ্য প্রকাশের পর অভিজিৎ খুনের ঘটনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম বলেছেন, মান্নার চক্রান্তের পর  প্রথম লাশ এটি।

নিহতের পারিবার জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বইমেলা উপলক্ষে দেশে ফিরেন অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী বন্যা। এরপর থেকেই অভিজিৎকে টার্গেট করছিল দুষ্কৃতিকারীরা।

ব্লগে ধর্ম বিশ্বাস ও বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির কারণে তার ওপর একটি মহল ক্ষুব্ধ ছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। যে কারণে অভিজিৎকে নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা।

অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অজয় রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অভিজিৎকে বলেছিলাম, তোমার মতো মানুষের জন্য এই দেশ সুখকর না। আমি যে আশঙ্কা করে ছিলাম, তাই হলো। ওরা আমার ছেলেকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করলো। সরকার চাইলেই খুনিদের গ্রেফতার করতে পারে বলে মনে করেন তিনি। খুনি কারা তা সবাই জানে। জঙ্গি গোষ্ঠীরাই অভিজিৎকে হত্যা করেছে। তাদের সব নথিপত্র পুলিশের কাছে রয়েছে।’

এ ঘটনায় অজয় রায় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া চাপাতি ও একটি ব্যাগ উদ্ধার করেছে। আলমত ও বিভিন্ন সূত্রধরে তদন্ত করছে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী বন্যা স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)  চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর রাণা দাশ গুপ্ত বলেন, সাঈদীর রায়ের পর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে সাধারণ মানুষ এবং সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর জন্য জঙ্গিরা এ হত্যকা- ঘটিয়েছে।

যেসব পুলিশ সদস্য হত্যাকাণ্ডের সময় অদূরে দায়িত্বে থাকার পরও অভিজিৎ ও তার স্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ক্ষুদ্রস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, কার কাছে নিন্দা জানাবো? কার কাছে বিচার চাইবো? তারা কি বিচার করবেন? গ্রন্থমেলায় আমরা প্রকাশকরা প্রবেশের সময় বারবার সার্চ করা হয়। কিন্তু এত নিরাপত্তার মধ্যেও কিভাবে দু’জন ঘাতক অস্ত্রসহ হামলা চালালো বুঝে আসে না।

সাংবাদিক কামাল লোহানী বলেছেন, এদেশের মানুষ যেমন মরতে জানে তেমনি মারতেও জানে। দেশের সকল প্রগতিবাদী মানুষকে এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে হামলাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।

গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক জুনায়েদ সাকী বলেছেন, বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ড হয় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, ক্ষমতায় থাকার জন্য। পুলিশি বেষ্টনীর মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে পারে না। একমাত্র জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই নিরাপত্তা দিতে পারে।

অপরদিকে লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ হত্যার প্রতিবাদে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার পক্ষ। অভিজিৎ এর হত্যাকারী ও পরিকল্পনাকারীরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে বাংলাদেশ চাইলে এই হত্যাকাণ্ড তদন্তে সহায়তা করতেও আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।

গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র জেন সাকি এসব কথা বলেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) মাসুদুর রহমান শীর্ষ নিউজকে জানান, অভিজিৎ খুনের ঘটনায় এখনো কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।


শেয়ার করুন