অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ’ অভিযানের নামে তান্ডব

সাংবাদিক শফিকসহ ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা পাঁয়তারা পিডিবি’র

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরে ‘অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ’ অভিযানের নামে ব্যাপক তান্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠেছে বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে। ১১ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে গোদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযানের নামে এ সময় বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগগের সহকারী প্রকৌশলী রিয়াজুল করিমের নেতৃত্বে সাংবাদিক মোঃ শফিকেরসহ আরো কয়েকটি বসতবাড়ীতে ভাঙচুর করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, তান্ডবে বাধা দেয়ায় মহিলাদের শ্লীলতাহানি করেও বলে গুরুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। একই সাথে তাদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গোদারপাড়ার এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক মোহাম্মদ শফিক জানান,র ভোরে ঘুম থেকে ওঠার আগেই ্িবদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয়ে এক ব্যক্তি হাজির হয়। তার সাথে ছিল আরো অন্তত ১০/১৫ জন। পরে কোন কিছু না জানিয়েই তারা মিলে শফিকের বাড়িসহ আশেপাশে আরো বেশ কয়েকটি বাড়ীতে ব্যাপক তান্ডব চালায়। তাদের দাবি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য তারা গিয়েছিলেন। কিন্তু ভুক্তভোগীরা জানায়, বিদ্যুৎ বিভাগের ওইসব লোকজন বাড়ি প্রবেশ করার জন্য জোরাজুরি করে। এতে বাধা দিয়ে বাড়ির মহিলারা ওইসব লোকজনকে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ নিয়ে আসার কথা বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মহিলাদের উপর হামলা শুরু করে তারা। এসময় কয়েকজন মহিলার শ্লীলতাহানি করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, বিদ্যুৎ বিভাগের পরিচয়দানকরী ওইসব লোকজনের হামলায় গোদারপাড়ার জান্নাতুল ফেরদৌস, লোনা আকতার, ছেনুয়ারা, রাবেয়াসহ আরো কয়েকজন আহত হয়ছেন। একই সাথে তাদেরকে শ্লীলতা হানি করা হয়।
হাশেমিয়া মাদরাসা মার্কেটের রেজাউল করিম মুন্না নামের এক ব্যবসায়ী জানান, ভোরে অতর্কিত এসে তার দোকানঘরের বৈদ্যুতিক মিটার খুলে নিয়ে যায়। অথচ এর আগে কোন ধরণের নোটিশ দেয়া হয়নি। এটা সম্পূর্ণ আইন ও নিয়ম বহির্ভূত। এই জন্য তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।
ভুক্তভোগীরা আরো অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ অফিসের সাথে ওই এলাকার আটা কালুর ছেলে সেলিম, নুরুল কবির প্রকাশ দালাল নুরুল কবিরসহ আরো কয়েজন কিছু বিদ্যুৎ বিভাগের দালাল এই হামলার জড়িত।
অন্যদিকে নিজেরাই হামলা করে উল্টো আহতের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বিভাগ মামলা করার পাঁয়তারা করছে করছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ক্ষুব্ধতা আরো বেড়ে গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারদের পক্ষ থেকে জড়িত বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলে পূর্বে নোটিশ দেয়া উচিত ছিল। বিনা নোটিশে ঘুমন্ত মানুষের ঘুম ভাঙিয়ে অভিযান চালানো কোন আইনে পড়ে না। যারা ‘অবৈধ বিদ্যুৎ বিচ্ছিকরণ অভিযান’ নাম দিয়ে তান্ডব চালিয়েছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। একই ঘটনা সাথে জড়িতের শাস্তি দাবি করেছেন শহরের বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের বক্তব্য জানতে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।


শেয়ার করুন