অবরোধে ইসলামপুর শিল্প এলাকায় ফের অচলাবস্থা : উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ

unnamed (1)
শাহনেওয়াজ জিল্লু, কক্সবাজার:
২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধে ফের বন্ধ হয়ে গেছে ইসলামপুর শিল্প এলাকার উৎপাদন ও সরবরাহ। অর্ধশতাধিক কারখানায় লবন উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় চরম দুরবস্থায় পড়েছে সহস্রাধিক শ্রমিক পরিবার। অপরিশোধিত লবনবাহী কার্গোবোট, পরিশোধিত লবণ পরিবহনকারী ট্রাক-মিনিট্রাক-পিকআপ শ্রমিকদের জীবিকাও হুমকির মুখে পড়েছে। কারখানায় পরিশোধিত লবণ দেশব্যাপী ভোক্তাদের নিকট সরবরাহ করতে না পারায় অপরিশোধিত লবণ ক্রয় বন্ধ করে দিয়েছেন মিল মালিকরা। ফলে মাঠপর্যায়ে লবণের দাম কমে গেছে আশংকাজনকভাবে। গত কয়েকদিন যাবৎ মাঠের অপরিশোধিত লবণ কমদামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষীরা। এতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের লবণ শিল্পে। এক ট্রাক ড্রাইভারের মতে, ভাংচুরের ভয়ে কোথাও যাচ্ছেন না।
ইসলামপুরে বেশ ক’টি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের ইনচার্জের মতে, প্রচুর অর্ডার থাকা সত্ত্বেও পরিবহন সংকটের ফলে উৎপাদিত লবণ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তাই আপাততঃ অপরিশোধিত লবণ ক্রয় বন্ধ রেখেছি। বাংলাদেশ লবণ চাষী সমিতির সদর উপজেলা শাখার সভাপতির মতে, মাঠে নতুন লবণ উঠতে শুরু করলেও মিল মালিকরা লবণ তুলতে আগ্রহী না হওয়ায় দাম ক্রমশ: কমে যাচ্ছে।
জনৈক কার্গোবোটের মাঝির মতে, লবণ ব্যবসায়ীরা সরবরাহ বন্ধ রাখায় প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে অলস বসে আছে। সপ্তাহ যাবৎ মিল বন্ধ থাকায় বেকার সময় কাটাচ্ছে সবাই।
রাষ্ট্রায়ত্ব ও প্রাইভেট বিভিন্ন ব্যাংকের ঈদগাওস্থ শাখা কর্মকর্তাদের মতে, ইসলামপুর শিল্প এলাকায় উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ থাকায় ব্যাংকের প্রাত্যহিক লেনদেন এক চতুর্থাংশে নেমে এসেছে। এরকম ধ্বংসাত্মক অবরোধ চলতে থাকলে মালিক-শ্রমিক-চাষীসহ এ খাতে সংশ্লিষ্টদের পথে বসতে হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন ভুক্তভোগীরা। আবার অনেকে, রাজনৈতিক সংকট দ্রুত নিরসন করে এ ধরণের অবরোধ তুলে নিয়ে দেশ শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানান।


শেয়ার করুন