সিটিএন ডেস্ক:
মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাটে বোমা ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকান লুটের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই আসামি র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এসময় তাঁদের কাছ থেকে ৮টি অস্ত্রসহ গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। একই ঘটনায় র্যাবের দুই সদস্য সামান্য আহত হওয়ার খবর দিয়েছে র্যাব।
সোমবার ভোর ৪টার দিকে মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি র্যাবের। কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতরা হলেন- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ইয়াকুব ও কামরুল হাসান। তাদের মধ্যে নিহত ইয়াকুব স্বর্ণ লুটের ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে সনাক্ত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর সিই্ও লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি বারৈয়ারহাটে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজে সনাক্ত করা কয়েকজন ডাকাত পুনরায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে মিরসরাইয়ের মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব। এসময় ডাকাতরা র্যাবকে উদ্দেশ্য করে গুলি করে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে দুই ডাকাত ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এসময় র্যাবের দুই সদস্য সামান্য আহত হয়।’
তিনি আরো জানান, এসসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি পিস্তল, ৩টি বন্দুক এবং ১টি ওয়ান শ্যুটারগানসহ বিপুল পরিমান গুলি, ধারালো অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এদিকে জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, ‘বারৈয়ারহাটে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ ‘স্বর্ণ ডাকাত’ নিহত হয়েছেন বলে সংবাদ পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। লাশ এখনো ঘটনাস্থলে আছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে।’
এর আগে গত ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বারৈয়ারহাট বাজারের মসজিদ মার্কেটের ‘শামীম জুয়েলার্সে’ হানা দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে যায় একদল ডাকাত। ডাকাতির পর পালানোর সময় তাদের ফাটানো হাতবোমায় এক স্কুলছাত্রসহ দুজন আহত হয়। ওই সময় দোকান মালিক শাহাবুদ্দিন দাবি করেন, দুর্বৃত্তরা তার দোকান থেকে অন্তত ২৫০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে।